দেওয়ানগঞ্জে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস

নিজস্ব সংবাদদাতা : দেওয়ানগঞ্জ যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে কৃষক কৃষানীদের নিয়ে চর গুজিমারী অনুষ্ঠিত হয় মাঠ দিবস। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তত্ত্ব বিভাগের প্রফেসার ড. আব্দুস সালাম। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মুকুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ পিএইচডি গবেষক পরেশ চন্দ্র দাস, দুপ্রক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন ঘোষ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আহম্মেদ, শামছুন্নাহার, এমএস শিক্ষার্থী ইকরামুল হক, কৃষক ছলিম উদ্দিন, সুরুজ্জামান, কৃষানী নাছিমা বেগম প্রমুখ। বিসিসিটি এর অর্থায়নে ‘ফসল উৎপাদনের উপর জলবায়ুর পরিবর্তনের পরিক্ষন এবং জলবায়ু সহনশীল ফসল ব্যবস্থার অভিযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চরাঞ্চলের ফসলের উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন প্রকল্প’টির বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তত্ত্ব বিভাগের প্রফেসার ড. আহম্মদ খাইরুল হাসান প্রকল্পতি তত্ত্বাবধান করছেন। আকষ্মিক বন্যা মোকাবেলায় ভুট্টা, মরিচের সঙ্গে আন্তঃফসল হিসাবে গোল আলু, পিয়াজ, রসুন, গাজর, কালোজিরা, মেথি ধনিয়া মটর শুটি যৌথ ভাবে একক ফসলের চেয়ে বেশি লাভ জনক হচ্ছে। চরাঞ্চলের গোল আলু চাষের ক্ষেতে মালচিং এবং ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে ভাল ফলন পাওয়া যাচ্ছে। চিনাবাদাম চাষের ক্ষেতে বারি চিনা বাদাম-১০ জাতটি রাসায়নিক সার এবং ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে ফলন ভাল হচ্ছে। চরাঞ্চলের পাট চাষের ক্ষেতে বীজের প্রাইমিং এর মাধ্যমে অংকুরোধগমের হার বেশি এবং আগাছা দমনে আগাছা নাশক হ্যান্ড ইউডিং এর যৌথ ব্যবহারে ফলন ভাল হচ্ছে। প্রকল্পের কার্যক্রম চরাঞ্চলের কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।