দেওয়ানগঞ্জে খোলা বাজারে দাম বেশি হওয়ায় ধান চাল পাচ্ছে না সরকারি ক্রয় কেন্দ্র

hdr

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলো প্রয়োজন মত ধান, চাল ক্রয় করতে পারছে না। খোলা বাজারের দামের সাথে সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা দামে বিস্তর ফারাক হওয়ায় আভ্যন্তরিন আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তি আবদ্ধ হলেও অধিকাংশ মিলাররা ঐ চুক্তির বাইরে রয়েছেন। ধান চাল বিক্রয়ে আসছে না তারা সরকারি গোডাউনে। এক কেজি ধান চালও বেচতে আসেনি কোন কৃষক। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শাহানা বেগম ও সরকারি গোডাউনের কর্মকর্তা মহি উদ্দিন নয়াদিগন্তকে জানান, এবার দেওয়ানগঞ্জ সরকারি গোডাউনে ৯৬৬ মেট্রিক টন চাল এবং ৭০৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রয় উদ্বোধন করার কথা থাকলেও গোডাউনে কেউ ধান- চাল বিক্রয় না করায় উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ দেওয়ানগঞ্জ সরকারি গোডাউনে ধান-চাল ক্রয় উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলায় ১২ জন তালিকাভুক্ত মিলার রয়েছে। তারা কিছু কিছু ধান, চাল আনছেন। তাদের সাথে প্রায় প্রতিদিন যোগাযোগ করছেন খাদ্য কর্মকর্তাগণ। ধান চাল সরবরাহের তাগিদ ও অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শতভাগ না হলেও ফিফটি পার্সেন্ট ধান চাল মিলারদের কাছে চাওয়া হলেও সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা তাদের কাছ থেকে। সরকার ১ কেজি চালের দাম ৪৭ টাকা নির্ধারণ করেছে অথচ তা উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৫০/৫২ টাকা বলে জানিয়েছেন মিলার ও কৃষরা। এর সাথে ক্রয় কেন্দ্রে আনা নেওয়া ও শ্রমিক খরচে লোকসান হয় ৬/৭ টাকা। সরকার ধানের দর ৩৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছেন। অথচ এর চেয়ে বেশি দাম হাটবাজারে। মোদ্দা কথা খোলা বাজারের ধান চালের মূল্যের সাথে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের তারতম্যের কারণে মিলাররা ও কৃষকরা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান চাল সরবরাহে দারুন অনিহা দেখাচ্ছে। এতে করে দেওয়ানগঞ্জে সরকারি গোডাউনে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান বিশেষভাবে ব্যাহত হতে পারে। শেষ খবর পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ সরকারি গোডাউনে মাত্র ২০/২২ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।