খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এবারে মরিচের বাম্পার ফলন অর্জিত হয়েছে। একটি পৌরসভা সহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মরিচের আবাদে এবার বাম্পার ফলন হলেও মরিচ চাষীদের মনে কোনো শান্তি নেই। চরম হতাশায় ভুগছেন তারা। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ আলমগীর আজাদ নয়াদিগন্তকে জানান, সরকারের পলিসি, কৃষি বিভাগের সর্বদা তদারকি, চাষীদের দিকনির্দেশনা দান, সময় মতো সার কীটনাশক প্রয়োগ, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় মরিচ চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও বাজারে সন্তোষজনক দাম পাচ্ছে না চাষীরা। তিনি আরো জানান, উপজেলায় এবার মরিচের আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৪শ হেক্টর জমিতে, সেই লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করে আবাদ হয়েছে ৪৪৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুকুল মাহমুদ জানান, এবার উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতীভাঙা, পাররামরামপুর, চরআমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়নের মরিচের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন টার্গেট ছাড়িয়ে গেছে। বাজারে কাচা মরিচের দাম ১৫-২০/২৫ টাকা কেজিতে। রমযান মাস শুরুর পর থেকে দাম কিছুটা বেড়েছে। বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের মরিচ চাষী লুৎফর রহমান, আবু সাঈদ, শাহজাহান মিয়া সহ অনেকেই জানিয়েছেন, মরিচ চাষে অনেক খরচ। অপর দিকে এবার বাজারে মরিচের দাম খুব কম। তাতে মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে বেচতে গেলে তেমন কোনো লাভ হয়না। একজন শ্রমিকের মূল্য ৫/৬শত টাকা, অপর দিকে ১ মণ কাচাঁ মরিচের দাম ৫/৬শত টাকা। যেজন্য অধিকাংশ চাষী কাচা মরিচ না তুলে ক্ষেতেই মরিচ পাকাচ্ছে, আশা পরবর্তীতে ভাল দাম পাবার। মরিচ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২/৩ বছর আগে ১ মণ কাচা মরিচের দাম উঠেছিল ৪২০০/৪৫০০ টাকা মণ । সেই সময় চাষীরা উপযুক্ত মূল্য পেয়েছিল। মরিচ আবাদে তখন থেকে ঝুকেপড়ে স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু এবার তারা চরম হতাশ হয়েছে মরিচের দাম পড়ে যাওয়ায়। অনেকের মতে, তারা লাভবান হবেন তো দূরের কথা তাদের লোকসানও গুনতে হবে। অনেকে মরিচ চাষে আগ্রহী হারিয়ে অন্য ফসল ফলানোর দিকে ঝুকে পড়ছে।
দেওয়ানগঞ্জে মরিচের বাম্পার ফলনেও হতাশ চাষিরা ক্ষেতেই পাকাচ্ছে অনেকেই
