দেওয়ানগঞ্জে মালিহা ইকো পার্কে পহেলা বৈশাখে ঢল নেমেছিল দর্শনার্থীদের পার্কটি বিনোদনে কর্মসংস্থানে ও উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মালিহা ইকো পার্কে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। সকাল থেকেই নানা বয়সী নানা শ্রেণী পেশার মানুষ টিকিট কেটে প্রবেশ করতে থাকে পার্কে। শিশু তরুন কিশোর দর্শনার্থীদের সংখ্যাই বেশি লক্ষ করা যায়। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের চর কালিকাপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত মালিহা ইকো পার্ক বিশাল এলাকা জুড়ে মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত। পার্কে যেতে আসতে তেমন বেগ পেতে হয় না, খরচও হয়না তেমন। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার সামনে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান সাকো পাড় হয়ে পূর্বাংশে মাত্র ক’মিনিটের পথ, এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জ বাজার হতে বা থানার সামনে হতে মটর সাইকেল, রিক্সা, অটোরিক্সা বা অন্য কোনো যানবাহনে স্বল্প সময়ে সামান্য খরচে পাকা পথ ধরে যাওয়া যায় পার্কে। পহেলা বৈশাখে পার্কে গিয়ে দেখা হয় পার্কের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মালিহা গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুবুল হাসান মাহবুবের সাথে। তিনি এ সাংবাদিককে জানান, ইকো পার্কটি মালিহা গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। পশ্চিম জামালপুর অঞ্চলটি শিক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা পশ্চাৎপদ। এ থানার উত্তরে ভারত সীমান্ত, পশ্চিমে গাইবান্ধা বগুড়া ও কুড়িগ্রাম জেলা সীমানা। এছাড়া ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, শ্রীবর্দি, রাজিবপুর, কর্তিমারী সহ বেশকটি উপজেলা। এত বিস্তির্ন এলাকার অধিকাংশ মানুষ চিত্ত বিনোদনের জন্য বড় কোনো শহরে সহজে যেতে পারেন না। এদিকে লক্ষ করে এবং বেকারদের কর্মসংস্থান ও এলাকার উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে এ পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্য পরিকল্পনার কথাও জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান, পার্ক ম্যানেজার (পার্সেজ) শাহরব হোসেন ফুয়াদ ও সোহানুর রহমান সোহান সহ অন্যান্যরা। পহেলা বৈশাখের দিনে সকালে উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামছুজ্জামান আসিফ এর নেতৃত্বে একটি আনন্দ র‌্যালী পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ পূর্বক সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ অন্যান্যদের নিয়ে গমন করেন মালিহা ইকো পার্কে। সেখানে তারা দিনভর বিনোদনে অংশ নেন। পার্ক পরিদর্শনে দেখা যায়, পার্কে হরিণের পাল, ময়ূর, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, ময়না পাখি, চীনা হাঁস, রাজহাস, ব্রাহমা মুরগি, ফলাদি চিকেন, টার্কি সহ নানা জাতের পশু পাখি। এসব দেখে বিশেষ আনন্দ পাচ্ছে দর্শনার্থীরা। ঐ দিন পার্কে বাউল সংগীতের আসরও বসানো হয়েছিল। প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীরা পার্কের বিষয়ে সন্তেুাষ প্রকাশ করেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, মালিহা ইকো পার্কটি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এলাকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।