দেওয়ানগঞ্জে সাপের লেজ ছেড়া স্রোতস্বিনী এক সময়ের ব্রক্ষপুত্র নদের তলে এখন ফলছে ফসল

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের উপর দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের প্রবল স্রোতস্বিনী ব্রক্ষপুত্র নদের তলদেশে এখন কৃষকরা ফলাচ্ছে নানা ফসলাদি। এ নদ এক সময় এতটাই তীব্র ¯্রােত ছিল যে, সাপ-মাছও নাকি উজান বেয়ে যেতে পারেনি। সেই থেকে একটা প্রবাদ চালু, সাপের লেজ ছেড়া ব্রক্ষপুত্র। একটি পৌরসভা সহ ৮ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। প্রাচীন এ জনপদের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়, পশ্চিমে যমুনা নদী, গাইবান্ধা জেলার সিমানা। দক্ষিনে ইসলামপুর উপজেলা এবং পূর্বে পুরনো ব্রক্ষপুত্র ও বকশীগঞ্জ উপজেলা। ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ব্রক্ষপুত্র দেওয়ানগঞ্জের বুক চিরে চলে গেছে জামালপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা মুখে। পাক আমলে এবং স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে উত্তাল ¯্রােতস্বীনি এবং ভাঙ্গনরত ছিল এই ব্রক্ষপুত্র নদ। তখন দেওয়ানগঞ্জের পূর্বাঞ্চলে শত শত একর জমি জমা বসতভিটা বিলীন হয়েছে ব্রক্ষপুত্রের ভাঙ্গনে। দেওয়ানগঞ্জ বাজারের বৃহৎ অংশ গ্রাস করে এবং কি দেওয়ানগঞ্জ থানা ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। এমতাবস্থায় হাজারো চেষ্টায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিপদ মুক্ত হতে পরবর্তীতে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মাণ করে পাউবো। পড়ে যায় চর। বন্ধ হয় ভাঙ্গন। এখন সে নদে নেই পানি। নৌপরিবহন ও শতশত জেলে পরিবার হয়ে গেছে বেকার। নদের তলে আবাদ করছে কৃষকরা। এ নদ খননের এলাকাসীর দাবি দীর্ঘ দিনের।