দেওয়ানগঞ্জে হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা : আহত ৩

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। উভয় দল পরষ্পর বিরোধী অভিযোগ করছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হামলায়। হামলায় আহতরা হচ্ছেন, হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মিয়া ও ছাত্রদল নেতা তারেক মাহমুদ। ঐ দিন আহত তিন জনকে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, অবস্থার অবনতি দেখে মোঃ দুলাল হোসেন ও লিটন মিয়াকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে ডাক্তারগণ। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম ও তার পুত্রের নেতৃত্বে দেশীয় আধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বিএনপির উপর হামলা করে তাদের গুরুতর আহত করেন ও অশ্লীন গালাগাল করেন। এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়াদিগন্তকে জানিয়েছেন, হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম কালামকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর হাতীভাঙ্গা ইউপি বিএনপি কার্যালয়ে ইউপি যুবদল সভাপতি মোঃ মধু মিয়ার সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, ইউপি বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ চৌধুরী যুগল, ছাত্রদল সভাপতি নুর আলম এবং অঙ্গ দলের সুরুজ্জামান, অফিল উদ্দিন, নুর আলম, রাশেদুল জাহিদ রিচার্ড, রাশেদুল, সুমন, মিজান, সাখাওয়াত, নুর আলম সিদ্দিকী, আয়ুব আলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও তার লোকজন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিএনপি কে প্রতিদিন গালমন্দ করে ও নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে। অপর দিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাতীভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমার পরিষদের মহিলা মেম্বার শিলা মনি ফোন করে বলেন, আমার স্বামীকে বিএনপির লোকজন আটকে রেখে মারধর করছে, আসুন, তাকে রক্ষা করুন। “আমি সেখানে গেলে তারা আমার উপর এবং আমার লোকজনের উপর হামলা করে বেশ কয়েকজন কে আহত করেছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অবাস্তব অভিযোগ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে তারা, আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি”। হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে এসব বিষয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখানে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে।