খাদেমুল ইসলাম : অবিশ^াস্য হলেও সত্য, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) দীর্ঘদিন ধরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে মাত্র মোঃ মোখলেছুর রহমান নামে একজন কর্মকর্তায়। তিনি একাই কর্মকর্তা, সহকারী কর্মকর্তা, একাউন্ট্যান্ট, অফিস সহায়ক। জনবল কম থাকায় মাঠে পড়ে থাকা দেড় কোটি টাকার উপরে ঋণ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্প কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন অফিস সহায়ক থাকলেও তার কোনো বেতনাদি নেই। নন রাজস্ব ভুক্ত। বহুদিন ধরে অতিকষ্টে ঐ অফিস সহায়ক পরিবার পরিজন নিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করে আসছে। ১০ নভেম্বর সোমবার সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে, তিনি জানান, দেওয়ানগঞ্জ বিআরডিবিতে জনবল সংকট দীর্ঘ দিন ধরে। সেখানে একমাত্র আরডিও সাহেব রয়েছেন। বিভাগের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে শুনেছি। নতুন জনবল নিয়োগ না হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, আমি ছাড়া এ অফিসে কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী নেই। আমি একাই সব কাজ করি। এতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে বিভাগের কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাঠে বকেয়া দেড় কোটি টাকা। জনবলের অভাবে তা আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। দেওয়ানগঞ্জ বিআরডিবি’র ইউসিসিএ লিমিটেডের কাজ প্রায় বন্ধ। অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে আবর্তক সদাবি, পল্লী প্রগতি, আদর্শগ্রাম, গুচ্ছগ্রাম, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ অন্যান্য অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করা আমার একার পক্ষে কি সম্ভব? আমি সকালে এসে অফিস খুলি, কাজ শেষে নিজেই অফিস বন্ধ করে চলে যাই। বিআরডিবি একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। আমি কি তা একাই পরিচালনা করতে পারি? তিনি জানান, আমার সহকারী কর্মকর্তা নেই, একাউন্ট্যান্ট নেই, অফিস সহায়ক নেই, নেই কোনো মাঠ কর্মী। এসব পদ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অভাবে কার্যক্রম মুখ থুবরে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড চলে মাত্র একজনে দেড় কোটি টাকা উত্তোলন : চরম ব্যাহত
