মদন মোহন ঘোষ : প্রতিবছরের মত এবারও দেওয়ানগঞ্জ যমুনা ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের কোরবানীর পশুর হাতের চাহিদা বেশী। চরাঞ্চলের পশু গুলোকে চরের প্রাকৃতিক ভাবে গজিয়ে উঠা কাচা গাছ, মাস কলাই, খেসারী, আখ ভুট্টা পাতা খাইয়ে মুলত মোটা তাজা করা হয়। তাই চরের পালিত পশুর মাংস সু-স্বাদু হয়। যে কারণে পশুর হাটে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ চর এলাকার পশুর। কোরবানীর সময় যমুনা ব্রহ্মপুত্র চরাঞ্চল খোলাবাড়ী টিনের চর হলকারচর ফুটানী বাজার বওলাতলী বরখাল বাহাদুরাবাদ ঝালুরচর চর বাহাদুরাবাদ মাদারের চর মোল্লার চর মৌলভীর চরসহ আশপাশ চর এলাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার এসে। পশু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র জানায়. এবারের কোরবানীর জন্য দেওয়ানগঞ্জ চরাঞ্চলে সাড়ে ৮হাজার পশু পালন করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও চরের টাটকা ঘাস, ভুট্টা, আখ, খেসারীর কাচা পাতা খাওয়ানো হয় পশুকে। কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় পিছয়ে পড়া লোকজন আথিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।
জানা যায়. প্রতিবছর যমুনায় জেগে উঠা চরে নদী ভাঙ্গা লোকজন পুনরায় বাড়ি ঘর করে কৃষি কাজের পাশাপাশি পশু পালন করছেন। চরে গজিয়ে উঠা প্রকৃতিক ঘাস খাওয়ায়ে পশু গুলোকে বড় করেছেন তারা। এতে চাষীদের যেমন খরচ বেচে যাচ্ছে তেমনি প্রকৃতিক ভাবেই হিস্টপুস্ট হচ্ছে গবাদিপশু।
দেওয়ানগঞ্জ পৌর হাট সরেজমিন ঘুরে পশু বিক্রেতা আঃ হামিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান. চরাঞ্চলের পশু ব্যাপক আমদানী বেশী ক্রেতা কম। গত ঈদের চেয়ে এবার পশুর দাম কম। ক্রেতাগন দামাদামি করছে। হাট কমিটি, দলীয় নেতৃবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ হাটের নিরাপত্তার জন্য হাট মনিটরিং করছেন।
পশু কিনতে আসা মোস্তাক জানান. এবার চরাঞ্চলের পশু কিনব, চরের পশুর মাংস খুবই সু-স্বাদু।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান. ‘দূর্গোম চরের লোকজন কৃষি কাজ বা বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ষাড় গরু হিস্টপুস্ট করেন, এতে দ্রুত সময়ে আর্থিক ভাবে স্বাভলম্বী হচ্ছে, সম্পূর্ণ সনাতন পদ্ধতিতে পশু লালন পালন করা হয়, তাই এখানকার চরের পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে’।