দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় আইন তৈরি হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী

দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের উপস্থিতিতে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজির মন্দির প্রাঙ্গণে শনিবার অনুষ্ঠিত হলো একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান। দিনাজপুরের শ্রী শ্রী গীতা সংঘের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী জানান, গীতার মাহাত্ম মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সুন্দর সমাজ ও পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যেই এ আয়োজন। পাশাপাশি দেশের চলমান দাবদাহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেও প্রার্থনা করা হয়।  বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের বিশাল আয়োজন এটিই প্রথম বলে জানান আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রদীপ প্রজ্বালন ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গীতাপাঠ পর্বের উদ্বোধন করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সরকার ২০১৩ সালেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত দুটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে। এছাড়া দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় দেবোত্তর সম্পদ আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন সংসদ-সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন শীল গোপাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত রায়, শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ কালিপদ মজুমদার, ভারতের বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ ড. মানস ভট্টাচার্য। আরও উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, কাহারোল উপজেলার ইউএনও আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি। রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।