দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আব্দুর রউফ মান্নানের খোলা চিঠি

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আব্দুর রউফ মান্নানের খোলা চিঠি । বুধবার (১১ জুন) বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও

বর্তমান এনসিপির সমর্থক আব্দুর রউফ মান্নানের স্বাক্ষরিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
৯টি তথ্য উল্লেখ্য করে খোলা চিঠি লিখেন আব্দুর রউফ মান্নান ১। বাংলাদেশে যে ক’জন রাষ্ট্রনায়ক বা সরকার প্রধান রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন তার মধ্যে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ, তুমুল জনপ্রিয়, আমাদের প্রিয় রাখাল রাজা, দেশপ্রেমিক নির্লোভ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এরপরেই আসে আপনার নাম। জিয়াকে আরবের স্বর্ণযুগের কোন খলিফার সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না। তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে, মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ অনুষ্ঠিত তাঁর জানাযায় দশ লক্ষাধিক মানুষ শরিক হয়েছিল।
২। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আপনার সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তারেক রহমান। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আপনাকে মিথ্যা মামলায় সাজা এবং কারাবন্দি থাকতে বাধ্য করেছিল তার পিছনেও অনেকাংশে তারেক রহমান দায়ী।
৩। প্রেসিডেন্ট জিয়া ভাবতেন ভারত আমাদের প্রতিপক্ষ। আপনিও একই মতাদর্শের অটুট বিশ্বাসী।
৪। ধারণা করা হয় “র” এর ষড়যন্ত্রে এরশাদকে দিযে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
৫। আপনি আপনার ছেলে তারেক রহমানকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। আপনিই ভালো জানেন তিনি এই পদের জন্য কতটা যোগ্য?
৬। সন্দেহ করা হয় আপনার দলের স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য “র” এর এজেন্ট। এর মধ্যে সালাউদ্দিন সাহেবই “র” এর একনিষ্ঠ অনুচর।
৭। আপনার আত্মীয়-স্বজনরা আপনাকে সাইড লাইনে রেখে নিজেরা লিডারশিপ নেয়ার চেষ্টা করছেন‌। এমন কি এক সময় আপনার ছেলেকে দল থেকে উধাও করে দেবে।
৮। এখনো দেশ পরিচালনার মত শক্তি ও সামর্থ্য আপনার আছে।
৯। একটু ভাবুন ম্যাডাম, দুলু, ভুলু, খসরু, আব্বাস, ফখরুল সাহেবরা আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চায়!
ম্যাডাম, আপনি আপোষহীন নেত্রী হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এ আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার অসীম করুণা। আপনি চুপ না থেকে সামনে থেকে জাতির নেতৃত্ব দিবেন এটাই দেশবাসীর একান্ত কাম্য। দেশের এই ক্রান্তিকালে আপনি আশার আলো হয়ে নতুন স্বপ্ন তৈরি করবেন এই আমার হৃদয়ের প্রত্যাশা। ‌সামনের জাতীয় নির্বাচন যদি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তবে এনসিপি ও ইসলামী দলগুলোর জোট জয় লাভ করার আশংকা থেকে যাবে।