দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মাত্র ১৫ বছরে আমরা এই যে উন্নতি করতে পারলাম, পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিচ্ছি এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিচ্ছি। ২০১০ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম, যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, এটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় এদেশের মানুষের জীবনে কোনো উন্নতি হয়নি, পরিবর্তন ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী করতে পেরেছি।
নতুন নতুন পণ্য ও বাজার খুঁজতে হবে জানিয়ে ব্যবসায়ীদের সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কেন গার্মেন্ট সেক্টরের ওপর নির্ভর থাকব? আমরা পণ্য যখন উৎপাদন করব যখন ডিজাইন, রং এবং এক একটা সময় এক একটা জিনিসের চল আসে, সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের ফ্যাশন ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। আমরা কোন দেশের কোন বাজারে ঢুকতে পারব, সেটা সরকার থেকে করে দেব। তবে ব্যবসায়ীদেরও নিজেদের পার্টনার নিজেদের খুঁজে নিতে হবে। সেদিকে আপনাদের নিজেদের দৃষ্টি দিতে হবে। নিজেদের উৎপাদক যেমন বাড়াবো, রপ্তানি বাড়াবো। আবার নিজের দেশের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান আমরা রেখে যাব। শুধু সীমিত কয়েকটা পণ্যের ওপর আমরা আর নির্ভরশীল থাকতে চাই না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। পণ্য শুধু বিদেশে রপ্তানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেও বাজারজাত করতে হবে ব্যবসায়ীদের।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যখন আসবে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের জনশক্তি তৈরি করতে হবে। উপযুক্ত জনশক্তি যাতে তৈরি হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। যাতে আমাদের যুব সমাজ এগিয়ে আসে। বাংলাদেশকে এই যুবসমাজ এগিয়ে নিতে পারবে।
২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেশে লুটপাট জুলুম হামলা মামলা চলেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। সরকারের প্রচেষ্টায় এরইমধ্যে ৫৮ জেলা ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি।