শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফাহিম জমাদার (১৮) নামে এক তরুণকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নওপাড়া ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার স্থানীয় একটি ক্লাবে আটকে রেখে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটানোয় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
স্থানীয় সূত্র ও থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জমাদার কান্দি এলাকার বাসিন্দা সোহরাব জমাদারের জমি নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান জাকির মুন্সির বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার বিকেলে জাকির মুন্সির ভাতিজা রাকেশ মুন্সি, সাব্বির মুন্সিসহ কয়েকজন যুবক ফাহিম জমাদারকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাকে স্থানীয় একটি ক্লাবে আটকে রেখে টানা চার ঘণ্টা ধরে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ফাহিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ফাহিম বলেন, ‘আমি খেলার মাঠ থেকে ফিরছিলাম। পথে রাকেশ মুন্সি ও সাব্বির আমাকে ডেকে নেন। পরে তারা আমাকে ক্লাবে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটান। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ফাহিমের বাবা সোহরাব জমাদার বলেন, ‘আমাদের জমি অন্যায়ভাবে দখল নেওয়ার পর আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। তার প্রতিশোধ নিতে ওরা আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে এভাবে নির্যাতন করেছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে রাকেশ মুন্সির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান জাকির মুন্সী হচ্ছে ঢাকা শহরের পুরাতন শীর্ষ সন্ত্রাসী । তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে চাইবে না। প্রয়োজনে আপনারা এলাকায় তদন্ত করে দেখতে পারেন। দীর্ঘদিন এলাকায় চেয়ারম্যান থাকায় অনেক মানুষের উপর এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে সে । অনেক গরীব মানুষের জমিনের দলিল তার কাছে নিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় তারপর বিক্রি করে দেয়।সেই টাকা দিয়ে তিনি কানাডায় বাড়ী করেছে।স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিচালক তিনি । ছাত্র আন্দোলনের হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আওয়ামীলীগের এই দোসর। জাকির মুন্সীর ভাতিজা হচ্ছে নওপাড়া ইউনিয়নের কিশোর গ্যাং এর লিডার এবং ইয়াবার ডিলার।
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’