দৈনিক পল্লীকন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন, জামালপুর-এ গত ১৯ আগস্ট ২০২৪ রোজ সোমবার “চন্দ্রায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জামালপুর পৌর শহরের হাটচন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা হাজী মো. মুক্তার হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক। সংবাদে উল্লেখিত আমজাদ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় এ মিথ্যা সংবাদের অবতারণা করা হয়েছে আমাকে, আমার পরিবার এবং স্বজনদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা ও আমাদের ক্ষতি সাধন করার জন্য।
জানা যায়, জামালপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১০নং ওয়ার্ডের চন্দ্রা গ্রামের অছিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও হাফেজ উদ্দিন নামীয় আরওআর ৩১৪ নং খতিয়ানের ৫.৭০০০ একর ভূমির রেকর্ড থাকাবস্থায় হাফেজ উদ্দিন তার হিস্যার ভূমি পরবর্তী ওয়ারিশদের সম্পত্তি লইয়া পত্রিকায় অভিযোগকারী আমজাদ হোসেন ও মর্জিনা বেগম নামে প্রকাশিত অভিযোগের দাগ ও খতিয়ানের ভূমির বিষয়ে অছিম উদ্দিনের পুত্র ও কন্যাগণ (৫) বাদী হইয়া বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ জামালপুর ১ম আদালতে ৭৫/২০১৯ নং অন্য প্রকার মোকদ্দমা আনয়ন করেন। উক্ত মোকদ্দমা পরবর্তীতে ৫০০/২০২১ অন্য প্রকার মোকদ্দমায় রূপান্তরিত হয় ও পরবর্তীতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর বদলী হইয়া ১২৬/২০২২ অন্য মোকদ্দমায় চলমান থাকাবস্থায় এবং উক্ত মোকদ্দমার আমজাদ হোসেন ও মর্জিনা বেগমদের কথিত দলিল বাতিলের বিষয়ে মোকদ্দমা চলমান। উক্ত ভূমি আমজাদ হোসেন ও মর্জিনা বেগম যাহাতে জোরপূর্বক দখল করিতে না পারে তৎমর্মে আমজাদ হোসেন ও মর্জিনা বেগম এদের বিরুদ্ধে অছিম উদ্দিনের পুত্র আমিনুল ইসলাম গং বাদী হইয়া বিজ্ঞ দেওয়ানগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা আনয়ন করেন। উক্ত মোকদ্দমা অবজ্ঞা করিয়া আমজাদ হোসেন ও মর্জিনা বেগম বিরোধীয় দাগের ভূমির মধ্যে জোর পূর্বক ঘরবাড়ী উত্তোলন করিয়া এবং জমির মধ্যে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করার অপচেষ্টা করিতে থাকে।
এমতবস্থায় বিগত ১৮/০৮/২৪ রবিবার দুপুরে মোকাদ্দমার বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। ঐ সময় চন্দ্র এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ও আমরা দাঙ্গা থামাতে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি এবং যেহেতু আদালতে মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে সেহেতু সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমজাদ হোসেন ও মর্জিনা বেগমকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের কাজে নিষেধ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় রাগের বশবর্তি হয়ে আমি ও আমার স্বজনদের উপর মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করে একটি পক্ষ সংবাদ প্রচার করে। এ সংবাদের আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
হাজী মো. মুক্তার হোসেন মোল্লা
হাট চন্দ্রা, জামালপুর।