‘দৌড়’ পৃষ্ঠপোষক হলেও ট্র্যাকস্যুট কিনলো বাফুফে

বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল আজ (বুধবার) সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দেশ ছাড়ার সময় ফুটবলাররা সাধারণত ট্র্যাকস্যুট পরেন। সেই ট্র্যাকসুট বাফুফেকেই কিনতে হয়েছে। যদিও গত মাসে স্পোর্টসওয়্যার কোম্পানি ‘দৌড়’–এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ করার কথা। 

পুরুষ ফুটবল দলের সৌদি আরব সফরের সময় ট্র্যাকস্যুট সরবরাহ করতে পারেনি ‘দৌড়’। একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী দলের সফরেও কোচিং স্টাফদের কিট প্রদানে ব্যর্থ হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠান। ফলে ফেডারেশন বাধ্য হয়ে অন্য কোম্পানির কিট দিয়েছিল কোচিং স্টাফদের। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান কিট প্রদান না করায় ফেডারেশনের অর্থ ব্যয় হয়েছে।

১১ ফেব্রুয়ারি বাফুফে দুই বছরের চুক্তি করে দৌড়ের সঙ্গে। জাতীয় ও বয়সভিত্তিক নারী-পুরুষ দলের হোম-অ্যাওয়ে ও অনুশীলন জার্সিসহ ট্র্যাভেল কিট (ট্র্যাকস্যুট) প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে চুক্তির দুই সপ্তাহ পর তারা নারী ফুটবল দলকে পূর্ণাঙ্গ সেট দিতে পারেনি। এর এক সপ্তাহ পর সৌদি আরবগামী ছেলেদেরও ট্র্যাকসুট দিতে ব্যর্থ হলো। পুরুষ ফুটবলারদের ট্র্যাকস্যুট স্পন্সর প্রতিষ্ঠান না দিতে পারায় তড়িঘড়ি করে সাধারণ বাজার থেকে কিনে ফুটবলারদের দিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন।

বাফুফের পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম দৌড়ের সঙ্গে চুক্তি ও সামগ্রিক বিষয় দেখভাল করছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘চুক্তির পর সময় স্বল্পতার মধ্যে নারী ও পুরুষ ফুটবল দলের দু’টি সফর হওয়ায় ‘‘দৌড়’’ সবকিছু দিতে পারেনি। পুরুষ ফুটবল দল যখন ঢাকায় এসে আবার ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবে, তখন সেসব একেবারে পূর্ণাঙ্গরূপে থাকবে।’

বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল দৌড়ের জার্সি পরেই গত দিন চারেক অনুশীলন করেছে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচিং স্টাফও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কিট পরিধান করেছে। কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের পর্যবেক্ষণ– কাপড়ের মান প্রত্যাশিত মানের নয়। আবার অনেকের সঙ্গে সাইজও মানানসই হয়নি। বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে, দুই বছরের চুক্তির মধ্যে এক বছর পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা হবে। সেটা আজও জোর দিয়ে বললেন তিনি, ‘কোচ ও অন্যদের কাছ থেকে আমরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই পেয়েছি এখন পর্যন্ত। অন্য প্রতিক্রিয়া থাকলে সেটাও আমরা পর্যালোচনা করব। মানের ক্ষেত্রে কোনো আপোষ নেই।’

বাফুফে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে কিট স্পন্সর পেয়েছে। নতুন কমিটির এখন পর্যন্ত এটাই এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান ব্যতিক্রম পদক্ষেপ। কিট স্পন্সর চূড়ান্ত করার আগে মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেছিলেন,‌ ‘আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিষ্ঠানও পার্টনার হতে আগ্রহী, সভাপতি দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্রমোট করতে চান। তাই আমরা দেশীয় প্রতিষ্ঠান বিবেচনা করছি।’ বিশ্বকাপ ফুটবল ও বিশ্বের অনেক বড় বড় ক্লাবের জার্সি বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুত হয়। সেসব পোশাক প্রস্তুতকারীর কেউ বাফুফের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি। নতুন স্পোর্টস ওয়্যার দৌড় একেবারেই অপরিচিত। সেই প্রতিষ্ঠানের ওপরই বাফুফের শীর্ষ কর্তারা আস্থা রেখেছেন। দৌড় সেই আস্থার প্রতিদান দেবে নাকি বাফুফেকে প্রশ্নের মুখে ঠেলবে এর উত্তর সময়ই দেবে।