পাকিস্তান সফরের আগে ৪৫ দিনের বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পের সুফল খুব ভালোভাবেই চোখে পড়েছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজটা বাংলাদেশ মাথা উঁচু রেখেই শেষ করে। সেই সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা কৃতিত্ব পাবেন দেশী কোচ সোহেল ইসলাম। বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পে কোচ হিসেবে ছিলেন তিনিও।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলেন সোহেল ইসলাম। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে না থাকায় সোহেল ইসলামসহ দেশী কোচরাই ছিলেন ভরসা। কিন্তু ভারতে এসে যেন দৃশ্যপট পরিবর্তন ঘটল পুরোপুরি উল্টো। ঘরের মাঠে ভারত বরাবরই শক্ত। তবে তাদের বিপক্ষে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করা হয়নি বাংলাদেশের।
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে দেশীয় কোচ সোহেল ইসলামের কথাতেও শুরুতে ছিল হতাশার ছাপ, ‘আশা তো করেছিলাম আরো ভালো খেলার। ব্যাটিংটা প্রথম ইনিংসে ভালো করতে পারিনি সেখানেই পিছিয়ে গিয়েছি। বলের দোষ দিয়ে দিব এরকম না। খেলেছি এক নম্বর দলের বিপক্ষে। ওদের মাঠে, বলের তো সুবিধা আছে সব মিলিয়ে আর কি।’
কোচ সোহেল ইসলাম জানালেন ভারত বড় দল, তাদের মাটিতে অনেক বড় দলও রান করতে হিমশিম খেয়েছে, ‘ভারতে গিয়ে অনেক বড় বড় দল কিন্তু ভা টেস্টেও ব্যাট হাতে ভুগেছেন সাকিব। একইসঙ্গে তার হেড পজিশন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিপিএল সময়ে রংপুর দলের কোচ থাকায় সেটা কাছে থেকেই দেখেছিলেন সোহেল। তবে এখন করতে চান না কোনো মন্তব্য দূরে থেকে, ‘ সাকিবের সাথে অনেকদিন তো আসলে কাজ করিনি। এখান থেকে সে বিষয়ে বলাটা আসলে ঠিক না। কিছু বলাটাও ঠিক না কারণ কাছে থেকে যারা দেখতেছে তারা বিষয়টি বলতে পারবে।’
বোলারদের নিয়ে খুশি সোহেল বললেন, ‘একটা টেস্ট ম্যাচে বুঝতে হবে প্রথমদিকে পেস বল ভালো হয়। তারপরে মাঝখানে তৃতীয় দিনে ব্যাটিং করা সহজ। চতুর্থ দিনে আবার বল অনেক বেশি ঘুরতে থাকে অনেক কিছু হয়। আমরা যখন বল করেছি তখন আসলে প্রথম দিকে ঠিক ছিল পরে আর হয়নি।’
চেন্নাই টেস্টে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কানপুর। সেখানে কি টাইগাররা ফিরে আসতে পারবে। সোহেল জানালেন কেন নয়, ‘দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্যয় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব কেন নয়? চেষ্টা তো থাকতে হবে।’