ধনবাড়ীতে মুরগীর খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনসাধারণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের গংগাবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়া এর ফলে ঐ এলাকার শিশু সহ অনেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
গংগাবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা, সেতু আক্তার, নাঈম, সিনান আরাফাত সহ অন্যরা জানান, স্কুলের সামনে রেজাউলের মুরগীর ফার্মের বিষ্ঠা’র দুর্গন্ধে আমরা ঠিকমত স্কুলে বসে পাঠদান করতে পারছি না। স্কুলের সামনে ১০০ গজের মধ্যে এই মুরগীর ফার্মটি হওয়ায় আমাদের নাক চেপে ধরে চলাচল করতে হয়। দিনে দিনে নানা রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন লোকজনের মাঝে।
স্থানীয় মজিবর রহমান, শহিদুল ইসলাম , শান্তা ইসলাম, হায়দার আলী, শফিকুল ইসলাম, মারফত আলীসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, এই রেজাউল দুই দুই টি অবৈধভাবে পরিবেশ আইন অমান্য করে লেয়ার মুরগীর ফার্ম স্থাপন করেছে। ফলে ফার্মের সামনের স্কুলের সকল শিশু শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও আশে পাশের বাড়ীর লোকজনেরাসহ পুরো এলাকাবাসী দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছি। দুর্গন্ধের কারণে বাচ্চাদের স্কুল ও ধনবাড়ী কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের এ পথদিয়ে নিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বাড়িতে মশা মাছির উৎপাত বেড়ে গেছে। একারণে শিশু ও বৃদ্ধদের অনেকের দেখা দিচ্ছে নানা ধরণের রোগ বালাই। এই ফার্ম বন্ধে দ্রুত মাননীয় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টাসহ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গংগাবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান, রাবেয়া খাতুন ও কবির হোসেন জানান, মুরগীর ফার্মটির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। যেন দেখার কেউ নেই! নানা রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,পথচারী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে। তাই অতি দ্রুত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
গংগাবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিনা খাতুন জানান, আমাদের স্কুল থেকে ১শ গজের মধ্যে দুই টি মুরগীর ফার্ম স্থাপন করায় মুরগীর বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বসতি এলাকায় হওয়ায় অনেক শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভর্তি হচ্ছে না। শিশু শিক্ষার্থীসহ এলাকার অনেকের মাঝে দেখা দিচ্ছে নানা রোগ বালাই।
মুরগীর ফার্ম মালিক রেজাউল করিমের কাছে জানতে তার ফার্মে গেলে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করে যোযাগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় কর্তৃক উক্ত মুরগীর খামার প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। যদি প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে অবাসিক এলাকায় ছাড়পত্র বিহীন ভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে তাহলে সরকারী বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।