নিজস্ব প্রতিবেদক, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া খানার নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির মুন্সী ও চরআত্রা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দাদন মুন্সী, জাকির মুন্সীর ভাই বাদল মুন্সী, অনিল মুন্সী, আদিল মুন্সী এবং নওপাড়া ইউনিয়নের সাবেক আরেক চেয়ারম্যান সোহেল মুন্সীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলেছেন এলাকা বাসি।
ইসলাম আমার জীবন নামে ফেসবুকে বিস্তারিত দেওয়া আছে যেমন-দক্ষিণ কাউনিয়া কান্দা এবং ডাইনগাঁও মৌজা মোট ৩৫ একর জমি খাস এক নং খতিয়ান। প্রতি বিগা জমি ১,২০,০০০ টাকা করিয়া বিক্রি করেন জাকির মুন্সী। ভুমিহীন কৃষকদের ভিতর যারা ভোক দখলে ছিল তাদেরকে টাকা না দিলে বাড়ি ঘর থেকে উৎখাত করা হবে এই ভয় দেখিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেন। ডাইনগাঁও মৌজা ১২০একর, চর র্দীঘল মৌজা ৮৪একর, লক্ষী পুরা মৌজা ৪৫একর এবং ধান কুনিয়া মৌজা ৯০ একর জমি জাকির হোসেন মুন্সি একা ভোগ দখলে আছে। এছাড়া নাম গোপন রেখে স্থানীয়রা বলেন নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির মুন্সী গরীব মানুষের প্রায় ২৯০ একর জমি দখল করে রেখেছে, চরআত্রা ইউনিয়নের আরেক সাবেক চেয়ারম্যান দাদন মুন্সী প্রায় ২০০ একর জমি দখল করে প্রায় ৩৬ বছর ধরে খাচ্ছে ।সোহেল মুন্সীর পিতা আজিজুল হক মুন্সী দীর্ঘদিন নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কোন মানুষের জমি রেকর্ড করতে দেয় নাই । যাতে গরীব মানুষের জমি খাস জমিতে পরিনত হয়। সে ব্যবস্থা তিনি মরনের আগে করে গেছেন । স্বাধীনতার পর থেকে মুন্সীরা নওপাড়া ও চরআত্রা ইউনিয়নের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে কসর নিতেন। যেমন যার ছিল ১২ নল জমিন তাকে দিত ১০ নল । এই ভাবে প্রতিটি জনগণ থেকে হাজার হাজার একর জমি মুন্সীরা ভোগ দখল করেছেন। জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে স্বাধীনতার পর থেকে নওপাড়া ও চরআত্রা ইউনিয়নের জমি লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন গরীব মানুষ থেকে। মুন্সী পরিবারের সবাই মিলে ভাগভাটারা করে খাচ্ছেন গরীব অসহায় মানুষের জমিন।তাদের ভয়ে কেউ কিছুই বলতে পারে না। এমনকি গরীব মানুষের জমি যখন খাস হয়ে যায় সে জমি তারা ভোগ দখল করে আসছে স্বাধীনতার পর থেকে। তাদের এই কাজে সহযোগিতা করেছে নড়িয়ার এসিল্যান্ড ও জেলা প্রশাসক নিজে । কারণ এনামুল হক শামীম হচ্ছে মুন্সীগো আপন বাগিনা।সব চেয়ে বড় চমক হচ্ছে নওপাড়া ইউনিয়নে যখন সরকার প্রত্যেক চাষীকে জমি লিজ দেয় তখন নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চরআত্রা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দাদন মুন্সী, এনায়েত উল্লাহ মুন্সী, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে তাদের নামে খাস জমি বরাদ্ধ নেয় । পরবতীর্তে সেই জমির কাগজ বিক্রি দেখিয়ে রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংসহ অন্যান্য জেলার লোক থেকে রেখে দেয় জাকির মুন্সী, দাদন মুন্সী ।এছাড়া জাকির মুন্সী নওপাড়া ইউনিয়নের পাশে যারা থাকে আমরা যাদেরকে পশ্চিমা বলে থাকি তাদের জমি অন্য মানুষ দিয়ে লিজ নিয়ে বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে নেয় ।সেই টাকা দিয়ে তিনি কেনাডার বেগম পাড়ায় ২টি বাড়ি করেছে । নানা খাতে দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির ৩৩ নাম্বারে জাকির হোসেন মুন্সি ৩৬ নাম্বারে ফয়জুল হাসান বাদল মুন্সী ।তাদের বিরুদ্ধে সোলার মিনিগ্রিড মিটার ও রিচার্জ বাবদ নওপাড়া, চরআত্রা ইউনিয়নের প্রত্যেক জনগন থেকে ১০০০ করে টাকা নিয়ে বিদ্যুতের লাইন দিয়েছে যার ভাগ পেয়েছে এনামুল হক শামীম , নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির মুন্সী, চরআত্রা ইউনিয়নের রোলা মুন্সী ওরফে এনায়েত উল্লাহ মুন্সী। রাজনৈতিক পদ ও টাকার জোর খাটিয়ে গুন্ডা বাহিনী গড়ে তোলেন। যাদের ব্যবহার করে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালাতেন জাকির মুন্সীর ছোট ভাই ইয়াবা খোর অনিল মুন্সী।নওপাড়া, চরআত্রা, কাচিকাটা ইউনিয়নকে রক্ষার নাম করে এনামুল হক শামীম ও হাজার হাজার টাকা কামিয়েছে। সাথে মুন্সী পরিবারের প্রত্যেককে বালু ভরাটের কাজ দিতেন কিন্তু তারা বালুর বস্তা না দিয়ে বিল করে জাকির মুন্সী, দাদন মুন্সী, সোহেল মুন্সী, গালিব মুন্সী, হিরা মুন্সী, এনায়েত উল্লাহ মুন্সীসহ আরো অনেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন । বালু উত্তোলন, এলাকায় অসহায় মানুষের জমি দখল, বিদেশে চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ করে মারা গেছেন মুন্সী পরিবারের আরেক মুন্সী তার নাম সিরাজুল হক মুন্সী । এছাড়া ও চেয়ারম্যান জাকির মুন্সী ও এনায়েত উল্লাহ মুন্সীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। জাকির মুন্সীর নামে নড়িয়া থানায় মার্ডার মামলা রয়েছে ।তার সহযোগী হচ্ছে দেলু মালত যিনি জাকির মুন্সীর হুকুমে মার্ডার করতে ও ভয় পায় না, দেলু মালতের নামে শরীয়তপুরে মার্ডার মামলা চলমান । দেলু মালত একাধিক মামলায় জেল খাটিয়াছেন। কোন কিছুই তিনি পরোয়া করেন না। জাকির মুন্সীর নামে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ও গাড়ি থাকার তথ্য রয়েছে যেমন ভুতের গল্লিতে তার ফ্লাট রয়েছে ।নওপাড়া ইউনিয়নে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এছাড়া তার কাছে অজস্র গরীব মানুষের দলিল রয়েছে । জাকির মুন্সীর কুকর্মের পরামর্শ দাদা হচ্ছে মন্টু খালাসী, বোরহান খালাসী, শামীম মাষ্টার, শাহাজালাল মাঝি,মনি দেওয়ান, দাদন সরকার প্রমুখ।