নওপাড়া ট্রলার ঘাটে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাজ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়

শরীয়তপুর জেলার নওপাড়া ইউনিয়নে কলেজ না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলার কলেজে গিয়ে পড়ালেখা করতে হচ্ছে নওপাড়া ইউনিয়নের ছেলে মেয়েদেরকে । এই সুুযোগে একটি কুচক্রি মহল নওপাড়া ট্রলার ঘাটে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাজ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে । অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই ঘাটের পারাপার ছিল ফ্রি। একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে এলাকাতে অশান্তি বিরাজ করছে। কুচক্রি মহলের ইশারায় চলে নওপাড়া ,চরআত্রার ট্রলার ঘাট। ইজারা মূল্যের কথা বলে তারা সাইনবোর্ডে লিখেছেন -ট্রলার ঘাটের ইজারা মূল্যে অনেক বেশী হওয়ার কারণে কোন ভাবেই চাত্রছা্ত্রীদের ফ্রি পারাপার করা সম্ভব নয়। পহেলা বৈশাখ থেকে এই নিয়ম চালু করেছে তারা।

আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে নওপাড়া ও চরআত্রায় হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষের বসবাস। ভূমিহীন-শিক্ষাহীন কৃষক ও জেলেদের বেশি বসবাস এসব এলাকায়। তারা আমাদের খাবার যোগান দেন। নদী এবং সাগর থেকে আমাদের জন্য সুস্বাদু মাছের যোগান দেন। সব রকমের শাক-সবজি, ধান, গম, ভুট্টা চাষ হয় চর এলাকায়। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চর থেকে দেশের ৫ শতাংশ মরিচ যোগান দেওয়া হয়। চর থেকে সারাদেশে যাচ্ছে মিষ্টি কুমড়া।বাংলাদেশের কৃষিতে এইসব চরবাসীর অবদান অনেক বেশি।

চরের অনুন্নত জীবন-মান, নিয়মিত বন্যা-খরা, বিশুদ্ধ পানির অভাব, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিত্সাহীনতার পরও কৃষকরা ফসল ফলান। এই সব খেটে খাওয়া মানুষ স্বপ্ন দেখেন তাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন।চরগুলো ঘুরে দেখা গেছে এসব স্কুলের শিক্ষার মান তেমন ভালো নয়। ঝরে পড়া শিশুদের সংখ্যাই বেশি। মেয়েদের বাল্য বিয়ে নৈমিত্তিক ঘটনা। দুর্গম এলাকা এবং সময়মত নৌকা না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী দুই ঘণ্টা পৃর্বেই বাড়ী থেকে বের হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার- ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিসার এসব তথ্য জানেন কোনো ব্যবস্থা নেন না। চরাঞ্চলের যে কৃষকরা আমাদের জন্য খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন তাদের উন্নয়ন হয়েছে কতটুকু? তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য সরকার কী করছে? সরকার চাইলে চরাঞ্চলের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের করতে পারেন।