নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে গণহত্যার তদন্ত-বিচার দাবি জামায়াতের

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ, হেফাজতের সমাবেশ ঘিরে গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে নির্বিচারে হত্যাকে গণহত্যা উল্লেখ করে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার কার্য শুরুর দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। 

দলটি বলছে, ‘ক্রাইম এগেনেস্ট হিউম্যানিটি’ নামে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন ও প্রয়োজনে কতিপয় আইন সংশোধন করেও হলেও তদন্তের মাধ্যমে সঠিকভাবে যেন বিচার হয়। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ভবনে (গুলশান-২, রোড-৫৪/এ, বাড়ি-৮) জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল।সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বাংলাদেশে যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই সংগ্রাম ও গণবিপ্লবের সময় স্বৈরাচারী শাসক যে রকম অত্যাচার হত্যা-খুন পরিচালনা করেছিলেন সেই বিষয়ে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে এই মুহূর্তে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিংস টিম বাংলাদেশ সফর করছে। তারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছেন। তারা আগামী শনিবার চলে যাবেন। অনেকের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকেও তারা আমন্ত্রণ করেছিলেন।মো. তাহের বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই দেশে ও জনগণের ওপরে বিগত স্বৈরাচারী সরকার যে নানা রকম অত্যাচার করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেসব ব্যাপারে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা সেসব তথ্য দিয়েছি। এই স্বৈরাচারি সরকার ১৯৭২-৭৫ ক্ষমতায় ছিল। তখনও তারা ৩০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেখানেও এই স্বৈরাচারি সরকার জড়িত ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নায়েবে আমির বলেন, আগাম মাসেই জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনের মূল টিম আসবে। টেকনিক্যাল বিষয়ে সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় করবে, তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে। তারা তো মূলত বাংলাদেশ সরকারকেই সহযোগিতা করবে। আমরা বলেছি, যতদ্রুত সম্ভব যেন তদন্ত ও বিচার কার্য শুরু করা হয় সেব্যাপারে আমরা অনুরোধ করেছি।