গত ৯ জুলাই করাচির একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও মডেল হুমায়রা আসগর আলির মরদেহ। ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর রহস্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে এবার এলো চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, হুমায়রার মৃত্যু হয়েছে নয় মাস আগেই। কার্যত, মৃত্যুর এত দীর্ঘ সময় পর মরদেহ উদ্ধারে ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পাক শোবিজ দুনিয়ায়।
এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে করাচি পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ছিল চরম পচনধরা অবস্থায়। ফোন রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হুমায়রার মোবাইল ফোনটি সর্বশেষ ব্যবহার হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে। সামাজিক মাধ্যমেও সবশেষ একটিভ ছিলেন সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। শুধু তাই নয়, বিল পরিশোধ না করায় অক্টোবর থেকে তার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়; সেখানে ছিল না কোনো মোমবাতিও।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তার বাসার ফ্রিজে খাবারগুলোর মেয়াদ ৬ মাস আগেই শেষ হয়। কনটেইনারগুলোতে মরিচা ধরেছিল। পানি সরবরাহও বন্ধ ছিল—নলগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল বহুদিন ব্যবহারের অভাবে।
স্থানীয়দের দাবি, হুমায়রার ফ্লোর থেকে কেউ কোনো দুর্গন্ধ টের পাননি। প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাকে সর্বশেষ দেখা যায় গত বছরের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে।

এদিকে হুমায়রার পরিবার তার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গত দুই বছর ধরে ছিন্ন। ভাই নবীদ আসগর জানান, হুমায়রা দেড় বছর আগে পরিবারের সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ করেন।
শোনা যায়, লাহোর থেকে করাচিতে আসার পর গত সাত বছর ধরে একা বসবাস করছিলেন হুমায়রা। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতেন না। বর্তমানে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে তদন্ত চালাচ্ছে করাচি পুলিশ।
সুত্র : আরব নিউজ