নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাত ঠেকাতে তাল বীজ রোপণ

নালিতাবাড়ী সংবাদদাতা : ‘তাল চারা রোপণ করুন, বজ্রপাত থেকে দূরে থাকুন’এই স্লোগানকে ধারণ করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বনলতা সংঘ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে বজ্রপাত ঠেকাতে তালের বীজ রোপণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কাকরকান্দী ইউনিয়নের বিন্নিবাড়ী গ্রাম থেকে সুতানাল পুকুরে যাওয়ার সড়কে দেড় শতাধিক তালের বীজ রোপণ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বনলতা সংঘের উপদেষ্টা মো. হাসমত আলী, সিনিয়র সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মো. জমশেদ আলী, কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসেন তুলিপ ও বনলতা সংঘের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, নাজমুল ইসলাম, মো. লাল মিয়া, সামাজ্জল হোসেন, মোশারফ হোসেন, মফি মিয়া ও চানু মিয়া প্রমুখ।বনলতা সংঘের কর্মকর্তারা জানান, বিগত ১৯৮০ সালে উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বিন্নিবাড়ী গ্রামে বনলতা সংঘটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এরপর থেকেই এই সংঘের মাধ্যমে খেলাধুলাসহ সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় তালের বীজ সংগ্রহ করে গত মঙ্গলবার বিন্নিবাড়ী এলাকায় কাকরকান্দি সড়ক থেকে মধ্যমকুড়া সুতানাল পুকর যাওয়ার সড়কে দেড় শতাধিক তালবীজ রোপণ করা হয়। বজ্রপাত নিরোধে তাল গাছ রোপণে সুফল পেয়েছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। এছাড়াও তালের পাতা ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, চাটাই ও মাদুর তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর কা- দিয়ে বাড়ি ও ডিঙ্গি নৌকা তৈরি হয়। তালের ফল ও শাঁস পুষ্টিকর খাদ্য। তালের রস থেকে গুড়, পাটালী, মিছরি ইত্যাদি তৈরি হয়। সেজন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গাছ। দীর্ঘজীবী তাল গাছ প্রায় একশ’ বছর বাঁচে।বনলতা সংঘের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বুলবুল বলেন, সারাদেশে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক এই বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু বরণ করছেন। সরকারীভাবেও এই তাল বীজ রোপণের জন্য বলা হচ্ছে। আমরা বিন্নিবাড়ী, পলাশিয়া,হাতিবান্দা ও খুজিউড়া গ্রামের যে সমস্ত পাকা সড়ক রয়েছে সকল সড়কের পাশে পর্যায়ক্রমে তাল বীজ রোপণ করবো।