সাভারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার)-এ আজ ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ (রবিবার) এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন নিটারের পরিচালক জনাব ড. মোঃ আশেকুল আলম রানা। তিনি নিটারের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি আলোচনায় বসে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা, দাবি ও সংকটের কথা শোনেন। মূলত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও আবাসনসংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সেসব সমস্যার সমাধানে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণের উদ্দেশ্যেই এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ আলোচনা সভায় নিটারের পাঁচটি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানগণ এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা (প্রক্টর) উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বর্ষ ও ডিপার্টমেন্টের প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা সরাসরি কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেদের সমস্যার কথা জানানোর সুযোগ পেয়ে আলোচনাটি ছিল প্রাণবন্ত ও উন্মুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন।
শিক্ষার্থীরা এ সভায় একে একে তাঁদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য সমস্যার মধ্যে ছিল— ইনকোর্স পরীক্ষার ফলাফল নোটিশ প্রকাশের পরও যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায় না, রিটেক ফি প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের মধ্যে বৈষম্য, দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, ছাত্র হোস্টেলের ওয়াশরুমে জেনারেটর সংযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, হোস্টেলে কমন রুম স্থাপন ও ইনডোর গেমস চালুর দাবি, মেয়েদের হোস্টেলে ডাইনিং ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয়তা, দিনের বেলাতেও আবাসিক হলে জেনারেটর সংযোগ রাখার দাবি এবং ল্যাবগুলোর যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের বিষয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও আবাসনের সমতা, বিনোদন সুবিধা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতার বিষয়েও তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন।
সভায় শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শোনার পর পরিচালক জনাব ড. আশেকুল আলম রানা সমস্যাগুলোর ব্যাপারে মন্তব্য প্রদান করেন। তিনি চলমান কিছু সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান। একইসাথে কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, একে একে সব সমস্যারই সমাধান হবে। বিশেষ করে ছাত্র হোস্টেলে ডাইনিং ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট বডি গঠনে বিলম্ব হওয়ায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এরকম মতবিনিময় সভা কেবল তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন আলোচিত সমস্যাগুলোকে বাস্তবে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত সমাধান করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেন, এখন থেকে অন্তত মাসে একবার এ ধরনের সভা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এতে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হবে এবং সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।