পরাজিত শক্তি সংখ্যালঘুদের ঢাল বানিয়ে নিপীড়নের অপপ্রচার চালাচ্ছে

পরাজিত শক্তি সংখ্যালঘুদের ঢাল বানিয়ে দেশকে নতুন করে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত এবং নিপীড়নের অপপ্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য কথা বলেন।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আওয়ামী লীগের হাতিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এরাই সংখ্যালঘুদের বাগি-ঘরে হামলা করে বিরোধী মতকে দমন করেছে অতীতে। 

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ও উপাসনালয়সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপাসনালয়ে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের দাবিও করেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণকে যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে। দেশের সব নাগরিককে স্ব-স্ব জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে। অনেককে গ্রেপ্তার করার পর জানা যায় তারা আওয়ামী লীগের কর্মী, অনেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। এবার বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে ইসলামপন্থি সংগঠন ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্রসহ অন্যান্য ছাত্ররা।

তিনি আরও বলেন, পুরো দেশে তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থানা, উপজেলা, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ও পাহারা দেয়। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন, রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার, চোর-ডাকাত রোধে রাত্রী জেগে পাহারা প্রদানসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করেছে।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও ইসলামপন্থিদের প্রশংসা করে ভারতের জয় শঙ্কর মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছে। এরপরও এ দেশের কিছু দালাল দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সংখ্যালঘুদের দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। দেশের আইন, বিচার, সংসদ, প্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা, শিল্প ও দেশ পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাম্য ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইনুছ আহমাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন ও এইচ এম রফিকুল ইসলাম।