নির্বাচনের দিন পাকিস্তানজুড়ে মোট ৫১টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।
বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের দিন পাকিস্তানজুড়ে মোট ৫১টি নির্বাচনী সহিংসতা বা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার অধিকাংশই ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে। নির্বাচন বানচাল করাই ছিল এ হামলাগুলোর মূল উদ্দেশ্য।’
এসব হামলা মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১০ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য, ৫ জ৭ন সন্ত্রাসী এবং দুই জন বেসামরিক। এছাড়া আরও ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর; কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেগুলোর বেশিরভাগই বানচাল করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
‘পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে দেশজুড়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন শহীদও হয়েছেন।’
‘এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানে গণতন্ত্র আরও দৃঢ় ভিত্তি পাবে বলে আমরা আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করছি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে— তারা যেন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গণতন্ত্রের এই অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। একমাত্র তাহলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাকিস্তানের চার প্রদেশ ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত এলাকায় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসন সংখ্যা ২৬৬টি। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৯ আসনের ফলাফল জানা গেছে। অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে আছে দেশটির কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
সূত্র : জিও টিভি