পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন হবে

oppo_1024

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ডঃ ছামিউল হক ফারুকী বলেন, যারা হোন্ডার আর গুন্ডা দিয়ে মাস্তানি করে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তা বন্ধ হবে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন হবে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা জুলাই আন্দোলনের সরকার। সুতরাং জুলাইয়ের চেতনার বাইরে আপনারা যেতে পারেন না। যদি যান তাহলে জুলাই আন্দোলনের সাথে গাদ্দারি করা হবে। এই গাদ্দারী দেশের জনগণ মেনে নেবে না। তাই আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে।
পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট সহ ৫ দফা দাবিতে আজ বুধবার জামালপুর পৌর সভার ফৌজদারি দারি মোড় থেকে এসপি পর্যন্ত সড়কজুড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও জামালপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। জামালপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখলেন জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল আওয়াল, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল হক জামালী। আরো বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট ছামিউল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জামালপুর জেলা সভাপতি এডভোকেট আছিমুল ইসলাম,জামালপুর সদর শাখার আমীর শরিফুল ইসলাম, মেলান্দহ উপজেলা আমীর ইদ্রিস আলী, শহর শাখার প্রশিক্ষণ সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জিয়াউল কবির, ইসলামপুর উপজেলার সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহমান ওমর প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও বিচারের মুখোমুখি করা গণমানুষের দাবি। এই ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। কারণ, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসবে। নতুন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তারা ভোট চুরি করতে পারবে না, কেন্দ্র দখল করতে পারবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হয়ে গেলে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। এ জন্য তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ঠেকাতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।