এফবিসিসিআই’র সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন মোহাম্মদ আলী

ঢাকা: দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর আসন্ন নির্বাচনে সভাপতিপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সংগঠনের সাবেক প্রথম সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। শনিবার (১২ জুলাই) গুলিস্তানের কাপ্তান বাজারস্থ খন্দকার কনভেনশন সেন্টার কাপ্তান বাজারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আষাঢ়ের সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীরা পেয়েছিল তাদের প্রিয় নেতা মোহাম্মদ আলীকে। নেতাকে পেয়ে অনেকেই তুলে ধরেন তাদের ব্যবসায়ের সর্বশেষ অবস্থা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী খন্দকার গ্রুপের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন। 

দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা মোহাম্মদ আলী ব্যবসায়ী মহলে একজন পরিচিত ও সম্মানিত নাম।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দেওয়া এই ব্যক্তিত্ব ইতোমধ্যে এফবিসিসিআই’র বিভিন্ন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়ে প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণের স্বাক্ষর রেখেছেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন, এফবিসিসিআই কেবল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন নয়, এটি আমাদের অর্থনৈতিক রূপান্তরের অন্যতম চালিকাশক্তি।

আমি বিশ্বাস করি, ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। সভাপতিপদে নির্বাচিত হলে আমি এ সংগঠনকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে কাজ করব। এছাড়াও  এই সংগঠনকে আধুনিক, ডিজিটাল, দায়বদ্ধ ও সক্রিয় অংশীদারে পরিণত করতে চাই।

তিনি আরও জানান, দেশের শিল্প ও ব্যবসায়ীক পরিবেশকে টেকসই ও আধুনিক করতে নীতি সহায়তা, তরুণ উদ্যোক্তা বিকাশ এবং আঞ্চলিক ব্যবসা সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেবেন।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা মোকাবিলায় সমন্বিত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের প্রয়োজন। আমি একটি ব্যবসাবান্ধব নীতি কাঠামো গড়ে তোলা, তরুণ উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা, এসএমই খাতের বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।”

ব্যবসায়ী মহলে মোহাম্মদ আলীর প্রার্থিতা ইতোমধ্যে আশাবাদের সঞ্চার করেছে। অনেকেই মনে করছেন, অভিজ্ঞতা, প্রাজ্ঞতা, দেশপ্রেম ও দুরদর্শী নেতৃত্বের সমন্বয়ে তিনি এফবিসিসিআইকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।

এফবিসিসিআই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন প্যানেল গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। শিগগীরই মোহাম্মদ আলী তার প্যানেল ও নির্বাচনী ইশতেহার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। সভায় বিভিন্ন এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন-সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আব্দুস সালাম, আফজাল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মো. হেলাল উদ্দিন হেলাল, শফিকুল ইসলাম ভরসা। উপস্থিত ছিলেন আলী জামান, নিয়াজ আলী চিশতী, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, কাওসার আহমেদ, এম. এ সাত্তার খান, আওলাদ হোসেন রাজীব প্রমুখ।