প্রতি জেলাতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের হাসপাতাল চান নিলয় আলমগীর

দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। বন্যার্তদের জন্য তিন ধাপে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য এ বছর সর্বমোট ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

ইসলামিক এই স্কলার জানান, বন্যার্তদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অনুদান ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে এই ১০০ কোটি টাকার মাইলফলক পার হয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষের অনুদান ও দান করতে এখন কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না। একটা সময় ছিল- যখন মানুষ কোনো দান করলে, কেনো এখানে টাকা দেওয়া হলো এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। কিন্তু সেই ভয়টা না থাকায় এখানে অনুদানের পরিমাণটা অনেক বেড়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সর্বমোট ১ লাখ ৬০ হাজার পরিবারের জন্য খাবারের আয়োজনসহ আরও ৫ হাজার পরিবারের জন্য থাকবে পুনর্বাসন কার্যক্রম। বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসনে দেওয়া হবে টিন ও নগদ টাকা।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, সর্বসাকুল্যে এ বছর আমরা ১০০ কোটি টাকার ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করব ইনশাআল্লাহ।

এদিকে বন্যার্তদের সহযোগিতায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা দেখে অভিভূত হয়েছেন অভিনেতা নিলয় আলমগীর। 

কোনো সংগঠনের প্রতি এমন বিশ্বাস এই অভিনেতাকে মুগ্ধ করেছে। যে কারণে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে নিয়ে নিজের একটি প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন তিনি। 

রোববার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে মানুষ কতটা ভালোবাসে, কতটা বিশ্বাস করে, যে মাত্র অল্প কয়েকদিনে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে শুধুমাত্র বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য।’

এরপর নিলয় লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলাতে যদি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে হাসপাতাল বানানোর প্রজেক্ট নিতো তাহলে কেমন হতো। যেখানে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ফ্রীতে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। আমার মনে হয় সবাই মিলে সহযোগিতা করলে এটাও সম্ভব।’

অভিনেতার স্ট্যাটাসে একজন মন্তব্য করেন, ভাই সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো তো আছেই। সেখানেও তো ফ্রীতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালগুলো সংস্কার করলেও হবে। জবাবে নিলয় লিখেছেন, মানুষ ঠিক মতো সেবা পায় না বলেই সবার অভিযোগ। মানুষের আস্থা নেই।