প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আধ্যাবদি দেশ ও তাদের নিজেদের পরিবারের স্বার্থে কঠিন পরিশ্রম করে দেশে অর্থ পাঠিয়ে আসছেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তূ বাস্তবতা হচ্ছে প্রবাসীরা নিজ দেশে নানাভাবে নিগৃহীত, নিপীড়িত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ রক্ষার্থে গঠিত হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশী অভিবাসী পরিষদ।সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমন্বয় করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশী প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সৈয়দ ও কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ফজলুল হক মুন্না।তারা বলেন- বর্তমান সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশী প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায়ও অবদান রাখছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও আরও অনেক সমস্যা প্রবাসীরা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রবাসী অভিবাসী পরিষদ ১৯ দফা দাবি পেশ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী নিকট -প্রতিটি প্রবাসীদের পেনশনের আওতায় আনতে হবে,প্রবাসীর মৃত্যুর পর এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে,প্রবাসীর লাশ সরকারি খরচে তার পরিবারকে হস্তান্তর করতে হবে,প্রতিটি প্রবাসীকে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনা হোক। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের জন্য পেনসন স্কীম চালু করতে হবে যাতে বৃদ্ধ বয়সে তাদের জীবন যাপন করা সহজ হয়,প্রতিটি প্রবাসীকে আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে হবে,প্রবাসী পাসপোর্ট নবায়ন হয়রানী বন্ধ করতে হবে,প্রবাসীদের জন্য দূতাবাস সহায়তা জোরদার করতে হবে,দূতাবাসের মাধ্যমে সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক প্রবাসীদের সেবা প্রদান করতে হবে,প্রবাসী যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমন করিবে চুক্তি অনুযায়ী তার ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। প্রবাসীরা যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত হয় তাহলে চুক্তি অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,প্রবাসীকে সরকারি খরচে ও স্বল্প মুনাফা ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে হবে,প্রবাসীদের ভোটের অধিকার ও অনলাইনে ভোট প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে,এয়ারপোর্টে হয়রানি , অপমান, লাঞ্ছিত শিকার হয়ে থাকে তা বন্ধ করতে হবে, প্রবাসীদের ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের সংশোধনীয় সরকারি খরচে ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকারি খরচের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করতে হবে,পেশা “প্রবাসী” প্রবাসীদের নথি ভুক্ত করতে হবে, প্রবাসী নিয়োগ কর্মকর্তা দ্বারা প্রতারিত হলে দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করতে হবে, অনেক প্রবাসীদের সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে বেদখল হয়ে যাওয়া সম্পদ প্রবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে আবেদন,প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করতে হবে,অনেক প্রবাসীর নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারে ভূমিকা পালন করতে হবে,দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রবাসীদের প্রতি সহনশীল হতে হবে।
Related Posts
কারো লোভে ভোক্তারা যেন কষ্ট না পায় : রাষ্ট্রপতি
- AJ Desk
- March 15, 2024
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, রোজার মাসে কারো লোভে ভোক্তারা যেন কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল […]
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রেস সচিবের শ্রদ্ধা
- AJ Desk
- June 8, 2024
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত প্রেস সচিব মো. নাঈমুল […]
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করুন
- AJ Desk
- November 5, 2024
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি। […]