প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, স্বৈরাচারেরা যদি মনে করে পুনরায় ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচার কায়েম করবে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। এ দেশের ছাত্র-জনতার শক্তির কাছে স্বৈরাচার পরাজিত হবেই।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে নরসিংদীর ছেলেরা বাংলাদেশ এবং বিশ্ব ইতিহাসে স্থান করেছে। আবারও যদি কেউ দেশের ক্ষতি করতে চায় তাদের প্রতিহত করা হবে। তবে এজন্য বিএনপির মতো সবাইকে জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করতে হবে। তাই বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, যেখানে দিনের ভোট রাতে নয় দিনেই হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার সফল খাদ্যমন্ত্রী, সাবেক এমপি ও কেবিনেট সচিব এবং নরসিংদীর উন্নয়নের রূপকার প্রয়াত আব্দুল মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

পলাশ উপজেলা ও ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে এই স্মরণসভায় দি মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটির চেয়ারপার্সন ও খান ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক রোকসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ড. মাহরীন খান। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের মেয়ে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহরীন খান বলেন, আব্দুল মোমেন খান দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসতেন, তাই দেশের উন্নয়নের জন্য তার সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। বিশেষ করে নরসিংদী এলাকার উন্নয়নের জন্য। দেশে আসার পর আমরা যখন নরসিংদীতে আসি ও ঘুরে বেড়ায় তখন তার চিহ্ন সব জায়গায় দেখতে পাই।

তিনি আরও বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন আমার দাদা মরহুম আব্দুল মোমেন খান। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে বিপ্লবের সময় মানুষের অনুরোধে আমার বাবা ড. আব্দুল মঈন খান রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। আমার দাদার উন্নয়ন কাজগুলো তিনি চালিয়ে গেছেন। রাজনীতি কঠিন একটি কাজ আর এই কাজটি দুজনই সততার মধ্যে করে গেছেন। সারা দেশের মানুষের কাজ করেছেন তারা।

জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে ড. মাহরীন খান বলেন, এই বিপ্লবের মূলে রয়েছে শিক্ষা এবং কাজ। আমাদের চাকরি দরকার। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা হলো মানুষের জন্য কাজ তৈরি করা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতি প্রমুখ।