প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বি,এন,পি আর বর্তমান বি,এন,পি এক নয়

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রউফ মান্নান বলেন-  দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের একমাত্র সেনা প্রধান থেকে এসে নির্বাচিত, রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ৭ বছর ক্ষমতায় থেকে সফলভাবে দেশ পরিচালনা করার সময় ভারতের চক্রান্তে র এর এজেন্ট কর্তৃক নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন।

উনার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি দলটি এখন সম্পূর্ণ নেতৃত্বহীন ও দিশাহারা। নেতৃত্বের অভাবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে বি,এন,পি এখন খাদের কিনারে। প্রতিমুহূর্তে বিএনপি এখন ইউনুস সরকার ও দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমালোচনায় ব্যস্ত। তাদের কাজ এখন প্রতি সপ্তাহে ২-১ বার জিয়াউর রহমানের মাজারে জিয়ারত দোয়া প্রার্থনা করা । মনে হয় এই দুই কাজই তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা। তাদের তো নির্ধারিত ধানের শীষ মার্কা আছেই। কাজেই চিন্তা কি!

ইউনুস সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। শুধুমাত্র বি,এন,পি’র পিড়াপিড়িতেই এই সরকার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন। আগামীতে কে সুফল ভোগ করবে তার অপেক্ষায় সারা দেশের জনগন।

আমার মনে এই রত্নকে (ইউনুস স্যার)হারিয়ে ফেলতে বসেছি। আরো ৩ বছর ইউনুস সরকার ক্ষমতায় থেকে বিচার কাজ সমাপ্ত করতে পারতেন, কিন্তু বিএনপি তা হতে দিবে না।

জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানের পর দেশটাকে বি,এন,পি লুটপাটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন। বর্তমানে দেশের হাট-ঘাট, বালু উত্তোলন সহ প্রতিটি নির্বাচনী এরিয়াতে তারাই চাঁদা তুলছেন। সাধারণ জনগণ মনে করছে, আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মারা বি,এন,পি’র কাঁধের উপর ভর করে অথবা উভয়ে মিলেমিশে এই কাজগুলো করছেন। লুটপাটের ধরন একই রকম আছে, শুধু লুটপাটকারী পরিবর্তন হয়েছে।

এই সময় যদি খালেদা জিয়া সুস্থ্য ও স্বাভাবিক থাকতেন এবং নিজ দায়িত্বে দলের সাংগঠনিক তত্বাবধান করার ক্ষমতায় থাকত। তাহলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা দ্রুত ফিরে পেত। উনার উপর সারা দেশ বাসীর আস্থা ছিল এবং এখনো আছে। উনি হাল ধরতে না পারলে বিএনপির অবস্থা দিন-দিন তলানীতে গিয়ে পৌঁছাবে।