ফারাক্কা বাধ খুলে দেওয়ার সংবাদে পশ্চিম জামালপুরে মানুষের মাঝে শংকা ॥ পূর্ব প্রস্তুতি অনেকের

খাদেমুল ইসলাম : ভারতের ফারাক্কা বাধের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ার সংবাদে জামালপুরের ৭ উপজেলা বাসীর মাঝে উৎকন্ঠা ও শংকা দেখা দিয়েছে। অনেকেই পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জামালপুরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ভারতের সীমানার সাথে যুক্ত। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদী। বিশেষ করে জামালপুর জেলার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ,ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, শরিষাবাড়ী ও পাশর্^বতী উত্তরের কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারি, কত্তিমারী, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা সহ অন্যান্য নদী তীরবর্তী এলাকা বাসীদের মাঝে ব্যাাপক আলোচনা ও শংকা দেখা দিয়েছে। অনেকে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা ছাড়াও অনেকে একে অপরকে ফারাক্কা খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যাচ্ছে। চলতি ভয়াবহ বন্যায় একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্থ জামালপুর জেলার অধিকাংশ উপজেলা। বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল অধিকাংশ এলাকা। বিস্তর ক্ষতি হয়েছে ফসল, বাড়ি ঘর, অবকাঠামো সহ অনেক কিছুর। এমতাবস্থায় ভারতের ফারাক্কা বাধ খুলে দেওয়ার বিষয়টি জনমনে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও দেশের পূর্বাঞ্চলের ১০/১১টি জেলায় ভারত থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বাধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় বেশুমার ক্ষয়ক্ষতি ও আহত নিহত হবার সংবাদে এমনিতেই হতাশাগ্রস্থ ও মর্মাহত মানুষ। ভারতের এই এক ঘেয়েমিপনায় মানুষ ক্ষুদ্ধ তাদের ওপর। গত সোমবার ও মঙ্গলবার ফারাক্কা বাধের গেট খুলে দেওয়ার সংবাদে দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর সহ অনেক এলাকায় অনেক পরিবার পানি থেকে রক্ষা পেতে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে আশ^স্ত করা হয়েছে ফারাক্কা বাধের গেট খুলে দিলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতির আশংকা নেই। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র পানি মাপক মোঃ আব্দুল মান্নান নয়াদিগন্তকে জানান, যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। এখানে বিপদ সীমার ২৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।