ফিরে দেখা মেহজাবীনের ২০২৪ সাল 

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে ২০২৪ সালের নিজের অর্জনগুলো আর নতুন বছরের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। মেহজাবীনের পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু লেখা হলো- 

‘২০২৪-এ যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কাজ হয়েছে, বা যারা আমার জীবনে কোনোভাবে জায়গা করে নিয়েছেন, সবাইকে একটা বড় ধন্যবাদ জানাতে চাই। সত্যি বলতে, আমার চারপাশে এত positive মানুষ ছিল যারা আমার কঠিন সময়গুলো সহজ করেছে। যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তারাও আমাকে এতটা comfortable বানিয়েছে যে আমি নিজের মতো করে কাজ করতে পেরেছি আর আরও ভালোভাবে perform করতে পেরেছি।

আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে প্রিয়মালতি এবং সাবা সিনেমাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে, যেমন টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া, আল্টারনেটিভা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। প্রতিবার যখন আমার সিনেমার নামের সঙ্গে বাংলাদেশ বলে ঘোষণা করা হয়েছে, আমার হৃদয় গর্বে ভরে উঠেছে।

আমার পরিবারকে নিয়ে বলতে গেলে, তাদের জন্যও আমি খুব grateful। তারা সবসময় আমাকে বুঝেছে, সাপোর্ট করেছে, যদিও আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। তবুও তারা সবসময় আমার পাশে ছিল, আর আমি তাদের সঙ্গেই ছিলাম, অন্তত মন থেকে। তবে promise করছি, আগামী বছর আমি আরও বেশি সময় বের করার চেষ্টা করব পরিবারের জন্য।

আমার দর্শকদের কাছে আলাদা করে ধন্যবাদ, কারণ আপনারা এই বছরের Ararat, Tithidor, Forget Me Not, আর Priyo Maloti—এই চারটি প্রজেক্টকে যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছেন, তা beyond amazing! একজন অভিনেতা হিসেবে এই বছরটা সত্যিই অসাধারণ ছিল, আর আমি এর থেকে বেশি কিছু চাইতেও পারতাম না।

২০২৫ নিয়ে আমি খুব excited! চাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আরও বড় হোক, আরও বেশি কাজের সুযোগ হোক। সিনেমার সংখ্যা যেন এই বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়। OTT content-এ আমরা যেন next level-এ যেতে পারি আর নাটকের মান যেন আরও ভালো হয়, সুন্দর সুন্দর গল্প যেন আরও বেশি উঠে আসে।

আরেকটা জিনিস নিয়ে আমি খুব খুশি—মালাইকা। আমার ছোট বোনের প্রথম TVC আর প্রথম নাটকের জন্য আপনারা যেভাবে তাকে ভালোবাসা দিয়েছেন আর গ্রহণ করেছেন, তা আমাদের পুরো পরিবারের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। তার জন্য আপনাদের এই ভালোবাসা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত।

শেষে একটা কথা বলি—আমরা সবাই যেন এই দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হই। এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকি যা আমাদের আশেপাশের মানুষ, প্রাণী বা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে। আমরা জানি fireworks-এর কী কী সমস্যা, আর এটা জীবজগতের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে। তাই এই কাজগুলো না করে দায়িত্বশীল থাকি।

Thank you to Almighty Allah SWT, I am happy, healthy and breathing. জীবনটা উপভোগ করি, আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাই, আর নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি।’