মোহাম্মদ আলী : আগমী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বকশিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটরটারদেরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে নানা অবৈধপন্থার আশ্রয় নিচ্ছেন প্রার্থীরা। কেউ করছেন আপ্যায়ন, কেউ দিচ্ছেন উপঢৌকন আবার কেউ কেউ সরাসরি নগদ টাকা তুলে দিচ্ছেন ভোটারদের হাতে। মঙ্গলবার, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর মেয়র প্রার্থী নজরুল সওদাগর ও আরেক মেয়র প্রার্থী মোঃ ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। মেয়র প্রার্থী বাবুল তালুকদারের অভিযোগ, মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর পৌরসভার ভোটারদের প্রভাবিত করতে অবৈধপন্থার আশ্রয় নিচ্ছেন। তিনি ও তার কর্মী বাহিনী তার প্রতীক জগ ও জগের ভিতর টাকা ভরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। এছাড়া তিনি আরেক মেয়র প্রার্থী ফকরুজ্জামান মতিনের বিরুদ্ধেও ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের অভিযোগ তুলেছেন। অপরদিকে নজরুল ইসলাম সওদাগরও বাবুলের বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ এনেছেন। এব্যাপারে মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর, নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি টাকা দিয়ে ভোট কিনছি না। বরং ভোট কিনছেন বাবুল তালুকদার।
বাবুল তালুকদার বলেন, আমি টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করিনি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোট চাইতে গেলে একজন শ্বাসকষ্টের রোগী আমার কাছে একটি ইনহেলার কিনার জন্য সাহায্য চেয়েছিল। আমি তার আবদার রক্ষা করেছি মাত্র। যেটা আমি সব সময়-ই করি। শুধু নির্বাচন বলে নয়। এব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার, মোঃ মাহমুদ আলম বলেন, আমি দুইজনেরই অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।