স্টাফ রিপোর্টার : বকশিগঞ্জ মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাব প্রয়োগ, অফিশিয়াল গোপন তথ্য বাহিরে প্রকাশ, কিশোর কিশোরী ক্লাবের শিক্ষক শিক্ষিকা হিসেবে নিজের বোন ভাগ্নি ও ভাতিজিদের নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের মাঝে নিম্নমানের ভেজাল জুস বিতরণ, মা ও শিশু ভাতায় পাশের ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ ও ৩৪ জনের নামে অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৩০ মে এসব অভিযোগ এনে বকশিগঞ্জ মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সে মর্মে ৩দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছেন, ইসলামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, (অঃ দাঃ) কামরুন্নাহার।
জানা যায়, বর্তমানে বকশিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে কর্মরত হিসাব রক্ষক কাম ক্রেডিট সুপার ভাইজার মোঃ আনোয়ার হোসেন এর আগে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত নিজ উপজেলা ইসলামপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি দায়িত্বকালিন নানা দুর্নীতি,অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ভূয়া নামের তালিকা এবং বিল ভাউচার দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া অফিসের গোপন তথ্য মোবাইলে ধারণ করে বাইরে প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া কিশোর কিশোরী ক্লাবে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের বোন, ভাতিজি ভাগ্নিকে নিয়োগ দিয়েছেন। ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মাঝে নাস্তায় নিম্নমানের জুস সরবরাহ করে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুকিঁতে ফেলেছনে। দুর্নীতির মাধ্যমে মা ও শিশু ভাতায় বেলগাছা ইউনিয়নের তালিকায় পাশের ইউনিয়ন মাহমুদবাসীর নাম ঢুকিয়েছেন। গাইবান্ধা ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে আঁতাত করে ৩৪ লোকের ভূয়া তালিকা দিয়ে অর্থআত্মসাৎ করেছেন। এসব কারণে দপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যা সরকারি চাকুরি বিধিমালা পরিপন্থী। তাই, তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে মর্মে পত্র প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ছিল তার জবাব দেওয়ার শেষ সময়। কিন্তু, অফিসসূত্রে জানা গেছে সেদিনও তিনি কোনো জবাব দেননি।
এব্যাপারে গত রোববার হিসাব রক্ষক কাম ক্রেডিট সুপার ভাইজার মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মতামত জানতে তার বর্তমান কার্যালয় বকশিগঞ্জে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অতঃপর তার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।