বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তারে পদ স্থগিত হলো বিএনপি নেতার!

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তারের পর বিএনপি নেতা আবুল কাশেমের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর রাতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগরের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে আবুল কাশেমের সকল পদ স্থগিত করা হয়। এঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর বকশীগঞ্জ থানায় একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শাহালম খান। ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম মিয়াকে গাজীরপাড়া বাজার এলাকা থেকে ১০ নভেম্বর রাতে আটক করে থানা পুলিশ।
সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তারে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের হাত রয়েছে এমন দাবি করে ১৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন সেলিম মিয়ার স্ত্রী খোদেজা বেগম। খোদেজা বেগমের দাবি , বিএনপি নেতা কাশেম তাঁর স্বামী সেলিম মিয়ার নিকট চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁর স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় আবুল কাশেম। ওই দিন রাতেই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনে আবুল কাশেমকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেন। শোকজ নোটিশে ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।পরে ১৬ নভেম্বর বিকালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম কারীর নিকট শোকজ নোটিশের জবাব সংবলিত একটি পত্র প্রদান করেন। এঘটনায় ১৭ নভেম্বর সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান মোল্লা সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান। এরপর দলের ভেতর ও বাইরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর রেশ না কাটতেই ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর। এব্যাপারে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির স্থগিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, আমি কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। নাশকতার মামলার বাদী আমি না। পুলিশ যাকে সন্দেহ করেছে তাকেই গ্রেপ্তার করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমের গ্রেপ্তারে আমার কোন হাত নাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে আমার পদ স্থগিত করা হয়েছে। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর জানান, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় আবুল কাশেমের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। দলের ভেতর কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।