বকশীগঞ্জে কোচিংয়ে জড়িত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি!

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু ; জামালপুরের বকশীগঞ্জে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোচিং করানো ও প্রাইভেট বাণিজ্যে যুক্ত থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। সোমবার ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এবিষয়ে আলোচনা করেন বকশীগঞ্জ সরকারি উলফাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান। তিনি নভেম্বর মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন। তার এই দাবি রেজুলেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হলে উপজেলা প্রশাসন এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস প্রদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় শতাধিক কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে থাকেন। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পাঠ গ্রহণ করে থাকে। সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাই আবার কোচিং বাণিজ, প্রাইভেট বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে। একারণে অনেক শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে হয়। এদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় হচ্ছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জানান, কোন এমপিওভুক্ত শিক্ষক যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকেন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।