বকশীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে বসত ভিটা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাড়ি-ঘরে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে উঠেছে।
৩ মে শুক্রবার বিকালে নিলাখিয়া ইউনিয়নের বিনোদর চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হামলার শিকার ওই পরিবার।
৬ মে (সোমবার) বিনোদর চর গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে জানান, বিনোদর চর গ্রামের মৃত কমেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে একাব্বর হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশি নূর ইসলামের ছেলে সোহাগ মিয়া, রাজীব মিয়া, সিরাজ আলী, আলমগীর হোসেন গংয়ের বসত ভিটার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বিকালে পরিকল্পিভাবে সিরাজ আলী , সোহাগ মিয়া ও রাজীব আলী সহ তাদের সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে নিয়ে একাব্বর হোসেনের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে ব্যাপক গালিগালাজ শুরু করে।
একাব্বর হোসেনের ভাতিজা মাহফুজুর রহমান ফুলের ওপর হামলা চালায় এবং রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ফুলুকে মাথায় রক্তাক্ত করা হয়। ফুলুকে হামলাকারীদের থেকে রক্ষা করতে গেলে তার ভাই পলাশ মিয়াকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে হামলাকারীরা আমার ভাই একাব্বর হোসেনের বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালিয়ে মরিচ ব্রিজের ১ লাখ ৬৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় হামলার শিকার হয়ে ফুলু ও পলাশ মিয়া মারাত্মক আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতি অবনতি হলে ফুলুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে ফুলু মিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এদিকে হামলা-ভাঙচুরের পর যেন থানায় কোন মামলা না হয় সেকারণে ফুলুর বাবা গোলাম মোস্তফাকে হুমকি দিচ্ছেন প্রভাবশালীরা।
তবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ি ঘরে হামলার শিকার একাব্বর হোসেন।
এঘটনায় বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ঘটনাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একাব্বর হোসেন ও তার পরিবারের স্বজনরা সহজ সরল ও নিরীহ হওয়ায় তার প্রতিবেশি সোহাগ মিয়া ও সিরাজ মিয়া গংরা প্রতিনিয়ত একাব্বরের পরিবারের ওপর নির্যাতন করে আসছে।
সোহাগ মিয়া ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাই এঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হামলায় আহত মাহফুজুর রহমান ফুলুর বাবা গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা প্রতি নিয়ত হুমকির মুখে রয়েছি। আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষরা। তাই আমরা জীবনের নিরাপত্তা চাই।