জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু : জামালপুরের বকশীগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃৃষ্ট বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বন্যার ফলে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ধ্বস নেমেছে। বন্যার কারণে পানি বন্দি হয়েছে সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও বগারচর ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। পানি বন্দি মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ দিন থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া , মেরুরচর ও বগারচর ও নিলাখিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী নদী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলের পাড়, ডেরুরবিল, চর গাজীরপাড়া, কতুবের চর, আচ্চা কান্দি, উত্তর আচ্চা কান্দি , শেকপাড়া, মদনের চর, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী, আইরমারী , তালতলা গ্রাম ,মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর, আউল পাড়া, চিনারচর, পূর্ব কলকিহারা, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, মাইছানিরচর ও মাদারেরচর এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানির তোড়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আচ্চা কান্দি গ্রামের সড়ক ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও গাজীর পাড়া বাজার থেকে কামালের বার্ত্তী সড়কের ঠান্ডার বন্দ গ্রামে এলজিইডির পাকা সড়কটির পাড় ধ্বসে যাওয়ায় যেকোন সময় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। একারণে এই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি মেরুরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই ইউনিয়নের কুতুবের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও যেকোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।
এবারের বন্যায় পাশাপাশি আইরমারী খান পাড়া, কতুবের চর, বাংগালপাড়া পূর্ব কলকিহারা বাগাডুবা, ফকির পাড়া ও আউল পাড়া এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বন্যায় বিধ্বস্ত রাস্তা গুলো পানি নেমে গেলে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস প্রদান করেছেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে বন্যার বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১০ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যায় আক্রান্ত পরিবারের তালিকা হাতে পেলেই বন্যার্তদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।