বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে ৬ তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দেওয়া স্কুল শিক্ষার্থী সাথিয়া জান্নাত আলো (১৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটো) তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। মৃত সাথিয়া জান্নাত আলো বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাবু মিয়ার মেয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ জুলাই বিকাল ৩ টার দিকে বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিলে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (নিটো)তে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সাথিয়া মারা যায়। মৃত শিক্ষার্থীর বড় বোন আখি আক্তার জানান, ২১ জুলাই সকালে হাসি মুখে আলো থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ে যায় সে। দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এক পযায়ে সে বিদ্যালয়ের ভবন থকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়। আজ আলোর জীবন প্রদীপ নিভে গেল ওই শিক্ষকের কারণে। তিনি শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ ঘটনায় মৃত শিক্ষার্থীর চাচা আবুল কালাম উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে দায়ী করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দেওয়া সেই আলো মারা গেছে!
