বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। তারাও ফাইনাল খেলার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। এবার ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠেছে প্রোটিয়ারা। এতে তিনে অবনতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। সিরিজে লিড নেওয়ার ম্যাচটিতে টেম্বা বাভুমার দল লঙ্কানদের ২৪৫ রানে হারিয়েছে।
ডারবানে প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য রান করা কতটা কঠিন সেটি গতকালই টের পেয়েছে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেট হারিয়ে বসলেও তৃতীয় দিন শেষে তাদের জন্য আরও ৪১৩ রান দরকার ছিল। অসম্ভব সেই লক্ষ্য তাড়ায় ডি সিলভা ও দিনেশ চান্দিমাল আজ (শনিবার) লড়াইও করেছেন কিছুটা। তবে তাদের বিদায়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে মার্কো জানসেন তাদের গুটিয়ে দেন ২৮২ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন চান্দিমাল। এ ছাড়া ডি সিলভা ৫৯ ও কুশল মেন্ডিস ৪৮ রান করেছেন। জানসেন দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮৬ রানে ১১ উইকেট নিয়েছেন, যা তার ক্যারিয়ারসেরা এবং ডারবানে কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা ফিগার। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা, জেরাল্ড কোয়েটজে ও কেশভ মহারাজ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা লঙ্কান পেসারদের তোপে ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায়। তারা বিপর্যয়ে পড়েছিল ঠিক, তবে লঙ্কানরা সেটিকেও ছাড়িয়ে যায় নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪২ রানে অলআউট হয়ে। ১৪৯ রানের লিড নিয়ে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। যেখানে টেম্বা বাভুমা ও ত্রিস্তান স্টাবসের জোড়া সেঞ্চুরিতে তোলে ৩৬৬ রান। সবমিলিয়ে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৬ রানের।
এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার দৌড়ে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। চলমান চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ৯ টেস্টে ৫ জয়, এক ড্র ও ৩ হারে তাদের পয়েন্ট ৫৯.২৬ শতাংশ। সবার ওপরে থাকা ভারতের জয় ৬১.১১ শতাংশ। ১৫ টেস্টে ৯ জয়, এক ড্র ও ৫টিতে হেরেছে রোহিত শর্মার দল। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্ট জিতে ভারত শীর্ষে ওঠে। ফাইনাল খেলার জন্য তাদের থাকতে হবে শীর্ষ দুইয়ে, এজন্য অজিদের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয় প্রয়োজন গত দুই আসরের ফাইনালিস্টদের। অন্যথায় তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দেশগুলোর দিকে।
চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে তিনে অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার। প্যাট কামিন্সদের জয়ের শতাংশ ৫৭.৬৯। এ ছাড়া ৫৪.৫৫ শতাংশ জয় নিয়ে নিউজিল্যান্ড এবং ৫০ শতাংশ জয় নিয়ে যথাক্রমে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা। আজকের হারে তিন নম্বর থেকে লঙ্কানদের অবনতি হয়েছে। ফাইনাল খেলতে টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থাকার লড়াইয়ে এই পাঁচ দলই টিকে আছে।