বন্ধ থাকা সরকারি দুটি টেক্সটাইল মিল চালু করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ

দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা সীতাকুণ্ডের আরআর টেক্সটাইল মিল ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিল চালু করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপে মিল দুটি চালু হবে। 

বিজ্ঞাপন

রোববার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ও বিটিএমসির মধ্যে এ নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

মিল দুটিকে যথাক্রমে চিটাগাং আরআর টেক্সটাইল লিমিটেড এবং বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড নামে রি-ব্র্যান্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বস্ত্র-পাট ও নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

আর ভোগান্তি নয়, ঘরে বসেই আয়কর দিন : প্রধান উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না এলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ব্যাহত হবে

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুটিসহ এখন পর্যন্ত ৭টি কল চালুর চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে আরও ১৭টি। ইজারা ও পিপিপি—উভয় দিক থেকে বাকিগুলো চালুরও চেষ্টা করা হবে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা ৩০ বছরের জন্য এই মিলগুলোর দায়িত্ব নিয়েছি এবং আশা করছি, মিল দুটির মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমরা ১ মাসের মধ্যে এই মিলগুলো ফের চালু করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ মিল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বরেন্দ্র রাজশালী টেক্সটাইল মিল। মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে আর ঢাকায় যেতে হবে না। উত্তরবঙ্গের মানুষ তাদের এলাকাতেই কাজ করার সুযোগ পাবেন।

সীতাকুণ্ডের আর আর টেক্সটাইল মিল ১৯৬৩ সালে ১৯ দশমিক ৪৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এর উৎপাদন কার্যক্রম চলমান ছিল। ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এটি পিপিপির ভিত্তিতে পরিচালনার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

রাজশাহী টেক্সটাইল মিল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে। এটি ২৬ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এ বস্ত্রকলও বন্ধ ১৯৯৭ সাল থেকে। আর আর টেক্সটাইলের মতো এটিও পিপিপি ভিত্তিতে পরিচালনার জন্য ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন পায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত ৭৪টি বস্ত্রকল নিয়ে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই থেকে যাত্রা শুরু করে বিটিএমসি।

বিটিএমসি বলছে, বন্ধ বস্ত্রকল মোট ২৪টি, এর মধ্যে ১৬টি পিপিপিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বস্ত্রকল চালু করার জন্য সংস্থাটি অবশ্য ইজারা এবং পিপিপি—দুইভাবেই এগোচ্ছে। 

বিটিএমসি সূত্র জানিয়েছে, আরো ১০টি টেক্সটাইল মিলসকে পিপিপিতে আনার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে— আমিন টেক্সটাইল, দ্য এশিয়াটিক টেক্সটাইল, জলিল টেক্সটাইল, বেঙ্গল টেক্সটাইল, সুন্দরবন টেক্সটাইল, দিনাজপুর টেক্সটাইল, টাঙ্গাইল টেক্সটাইল, দারোয়ানী টেক্সটাইল ও আফসার টেক্সটাইল।