বর্বরতায় অভ্যস্তদের মানবিক বাংলাদেশ ভালো লাগবে না : শেখ পরশ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, নির্বাচন প্রাক্কালে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বর্বরতায় যারা অভ্যস্ত সেই বিএনপি-জামায়াতের কাছে শেখ হাসিনার মানবিক বাংলাদেশ ভালো লাগবে না, এটাই স্বাভাবিক।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাবতলী সিটি কলোনি মাঠে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বাংলাদেশের মানুষ যারা একবেলা খেতে পারে না, ছিন্ন কাপড় পরনে যাদের থাকার জায়গা ছিল না, চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না, শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হব। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, এই পথে প্রধান বাধা মনুষ্যত্ব বিবর্জিত স্বাধীনতা বিরোধীচক্র, রাজাকার, আল-বদর, আল সামসদের দোসর, বিএনপি-জামায়াত। ওরা ভয়াবহ সেই আগস্টের রাতের অন্ধকারে জাতির পিতাকে অমানবিক ও নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, ওরা সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যত্ব বিবর্জিত হয়ে বিনা বিচারে নারী-শিশুকে হত্যা করে। মার্শাল-ল ইমারজেন্সি জারি করে বিএনপি নামের তথাকথিত রাজনৈতিক দল গঠন করে। যারা অমানুষের মত গণহত্যা চালিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা করেছে। এমনকি পশুতুল্য খুনিরা ৩ নভেম্বর জেলাখানায় বিনা বিচারে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করেছে।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার যে জনগণের অধিকার খর্ব করাই বিএনপি-জামায়াতের প্রধান কাজ। আজকেও তারা এদেশের সাধারণ মেহনতি মানুষের অধিকার হনন করার জন্যই কালো পতাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে চলেছে। আবারো এদেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী দেশে পরিণত করার পাঁয়তারা করছে তারা।

তিনি বলেন, আওয়ামী যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মত ওদেরকে রাজপথে প্রতিহত করেছে এবং করতে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত এদেরকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করতে না পারি ততদিন যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথেই থাকবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মানবিক উন্নয়নের ধারা এবং এদেশের মানুষের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার অধিকার রক্ষা করবে।

তিনি আরো বলেন, যখন সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আপনাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন তাদের এই সব অপরাজনীতি আপনাদের দুঃখ-কষ্ট বৃদ্ধি করার ফন্দি ছাড়া আর কিছু না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুবলীগের প্রেসিডিয়া সদস্য মো. মঞ্জুর আলম শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মোজহারুল ইসলাম, মো. সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল অলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।