নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০ সেপ্টেম্বর, শনিবার, বিকাল ৩ ঘটিকায়, শাহবাগে ‘ইসলামী সমাজ’ কর্তৃক আয়োজিত ত্বাগুতী ব্যবস্থা বিরোধী জনসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ুন কবীর বলেছেন- মানুষের প্রয়োজন ও কল্যাণেই সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব। সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রের মালিকানা এবং আইন-বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা। গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন-কর্তৃত্ব এবং দাসত্ব ও আইনের আনুগত্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের। সুতরাং, মানব রচিত সকল ব্যবস্থাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ শাসন-কর্তৃত্ব এবং আইন-বিধানের আনুগতোর সীমালঙ্ঘনকারী ব্যবস্থা- ত্বাগুতী ব্যবস্থা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষ কোন না কোন ত্বাগুতী ব্যবস্থার অধীনে বন্দি হয়ে মহ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখী অবস্থান করছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাগত হওয়া হাজার হাজার নারী-পুরুষসহ দেশ ও বিশ্বাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মানুষ ত্বাগুতী ব্যবস্থা গণতন্ত্র ও গণতেন্ত্রর ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মেনে চলার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রব ও ইলাহ্ গ্রহন করে মহান রব্যের সাথে কুফর এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে তাঁরই ভয়াবহ আযাব-গজবের মুখোমুখী অবস্থান করছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনও লাংস হচ্ছে। আযাব-গম্ভব এবং আখিরাতে ফাংস থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম এবং আলকুরআন’ই মানব জাতির জন্য একমাত্র কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ সংবিধান।
‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর সহকারী দায়িত্বশীল, আকিক হাবিবুজ্জামানের সভাপতিত্বে “সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ত্বাগুতী ব্যবস্থা ও আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার উপায় এবং এ লক্ষ্যে মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে” অনুষ্ঠিত ত্বাগুতী ব্যবস্থা বিরোধী জনসমাবেশে সংগঠনের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ত্বাগুতী ব্যবস্থা গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন-বিধান দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত এবং পরিচালিত হলে সকল মানুষের সকল ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, সকল ধর্মের লোক শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে এবং জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ ভিভিক কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে। তিনি বলেন, যারা আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকবে তারা আল্লাহর ক্ষমা লাভকরে জান্নাতবাসী হবে।
ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র লড়াই নয়। ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদারগণের সমাজ তথা ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন’ই ত্বাগুতী ব্যবস্থা ও আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। ‘ইসলামী সমাজ’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার ত্বাগুতী ব্যবস্থা ও আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন করে মানুষের জীবনে অলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে কল্যাণ ও মুক্তির পথে জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
‘ইসলামী সমাজ’ ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বশীল, সোলায়মান কবীরের সঞ্চালনায়- জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল- জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, আমীর হোসাইন, আজদুল হক, আসাদুজ্জামান বুলবুল, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্, মোঃ সেলিম মোল্লা, আবু শামান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্বশীল- মিনহাজ উদ্দিন, মেঃ সোহেল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সহকারী দায়িত্বশীল- আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ ও মোস্তফা জামিল সাদ প্রমুখ।