বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করছেন লঙ্কান কোচ

বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি লড়াই মানেই যেন উত্তাপ ছড়ানো আবহ। সেই উত্তেজনার শুরুটা হয়েছিল নিদাহাস ট্রফির নাগিন ড্যান্স থেকে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াই হয়ে যায় নাগিন ডার্বি। তবে তাতে নতুন উপাদান যোগ হয়েছে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড–আউট এখন এই দ্বৈরথের নতুন উপাদান। 

গত শনিবার টি-টোয়েন্টির সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেই উত্তাপ আবারও টের পাওয়া গেছে। ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এরপর বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর পর ট্রফি নিয়ে উদযাপন করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে সেই উদযাপনের সীমা ছাড়িয়েছে সদলবলে তাদের করা টাইমড আউট ভঙ্গি। এ সময় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা হাতের ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে করা সেই আলোচিত ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

লঙ্কানদের ‘টাইমড আউট’ উদযাপন নিয়ে ভাবতে নারাজ বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘টাইমড-আউট’ ঘটনা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি শ্রীলঙ্কা, তবে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা নিয়মের মধ্যে ছিলাম (টাইমড-আউট নিয়ে)। কিন্তু এটি নিয়ে তারা মেতে আছে। আমি এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই।

তবে পরিস্থিতি যা তাতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজেও টাইমড আউট বিষয়টি বড় আকার ধারণ করবে বলেই মনে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার হেড কোচ সিলভারউড গতকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবশ্যই দারুণ কিছু। আমি মনে করি আমাদের ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন। আমি যেমনটি টি-টোয়েন্টি সম্পর্কে বলেছি- এটি খুবই ভালো দিক ছিল এবং আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কিছু ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি। আমি ওয়ানডে সিরিজেও একই প্রত্যাশা করছি। আমি এটাই আশা করছি, শক্তিশালী ক্রিকেট আশা করছি। উভয় দলই এটা চাইবে। আমার এটাই কল্পনা করা উচিৎ।’

ওয়ানডে সিরিজেও জিততে চাওয়া লঙ্কান কোচের বিশ্বাস সংক্ষিপ্ত ভাসনের সিরিজ জয় তাদেরকে মোমেন্টাম এনে দেবে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এ সিরিজটি আমরা আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি এবং আমি নিশ্চিত উভয় দলই সেটা করবে।  আমরা এখন একটা নতুন চক্রের মধ্যে আছি এবং আমরা একটি নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করছি, যেটা আমরা  পরের বিশ্বকাপে খেলতে চাই। এটা এমন কিছু যা আমরা দলের মধ্যে সৃষ্টি করতে চাই।’