রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশন করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে আমরা কোনো আদেশ দেইনি। অথচ কিছু গণমাধ্যম ভুল সংবাদ পরিবেশন করেছে। এভাবে কোর্টের আদেশ ভুল করে লিখলে তো সংশ্লিষ্টদের তলব করা ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না। আমরা আদেশ দিলাম একটা, আর গণমাধ্যমে লিখল আরেকটা। এতে জনগণ বিভ্রান্তির শিকার হয়।
রোববার (৩ মার্চ) কারাগারে ১৩ বিএনপি নেতাকর্মী মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্ত চেয়ে রিট শুনানির একপর্যায়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় আদালতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ করতে আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন।
অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন বলেন, সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন আবদুল্লাহ আল মামুন কৌশিক নামের এক ব্যক্তি। আবেদন নিষ্পত্তি না করায় পরে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ৯০ দিনের মধ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ করতে আবেদন ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে, কিছু গণমাধ্যমে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হাইকোর্ট নিষিদ্ধ করেছেন মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ভুল সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি আদালতের নজরে এলে আজ হাইকোর্ট উপরোক্ত মন্তব্য করেন।