খাদেমুল ইসলাম : পূর্বে একাধিকবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নতুন করে গড়ে ওঠা পোল্যাকান্দি গ্রাম, পোল্যাকান্দি ব্রিজ, স্কুল, মাদ্রাসা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী ভাঙ্গনের করাল গ্লাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত ২০ আগষ্ট বুধবার প্যোলাকান্দি গ্রামের পক্ষে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর ঐ লিখিত আবেদন করা হয়েছে। পোল্যাকান্দি গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ ফজলুল করিম, আমজাদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদীন, সহিদুল্লাহ, আলতাব, সুরুজ, গোলাম মোস্তফা, মুকুল জামিউল, কালা মিয়া, তারা মিয়া, আমিনুল, বকুল, শফিউল্লাহ সহ এ সাংবাদিককে জানান, আমরা খুবই চিন্তিত ও শংকিত, কারণ অতীতে আমরা একাধিকবার নদী ভাঙ্গনে শিকার হয়ে অমানবিক দুঃখ কষ্ট করেছি। আমাদের সমস্যার শেষ নেই। অনেক কষ্টে পুনরায় নতুন বসতি গড়েছি, নতুন পোল্যাকান্দিতে। এখন এই গ্রামের দক্ষিণে ও উত্তর পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের অবিরাম ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমাদের গ্রামে একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা, কমিউনিটি সেন্টার, বাজার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূণ পোল্যাকান্দি ব্রিজ রয়েছে। পোল্যাকান্দি গ্রামে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা দূরের কোথাও লেখা পড়া করতে যেতে পারে না। যে ব্রিজটি দেওয়ানগঞ্জের সেতু বন্ধ বলে পরিচিত। এসব গ্রাম ও স্থাপনা নদী ভাঙনে চরম হুমকিতে রয়েছে। পোল্যাকান্দি ব্রিজ ভেঙে গেলে দেওয়ানগঞ্জ-তারাটিয়া-সানন্দবাড়ী-ডাংধরা এবং কী পাশর্^বর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর রৌমারি, কর্তিমারী এলাকার লোকজনের যাতায়ত বন্ধ হয়ে যাবে। পোল্যাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদটি কয়েক দশক ধরে অবিরাম ভেঙে আসছে। হাজার হাজার পরিবার ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে। এর আগে পোল্যাকান্দি হাইস্কুল, পোল্যাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা, লঙ্গরখানা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। আজ অবধি শক্তিশালীভাবে নদী ভাঙন রোধে কোনো কার্যরকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কোনো সরকার। আমাদের একমাত্র প্রধান দাবী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ। এ ব্যাপারে আমরা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমান সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত আবেদন করেছি।
বাহাদুরাবাদ পোল্যাকান্দি গ্রাম কে ভাঙ্গন থেকে রক্ষার লক্ষে বাধ নির্মাণ ও জিও ব্যাগ ফেলার আবেদন
