বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এম.এ রফিক : কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে অভিযোগ করায় এবং সংবাদপত্র সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সোমবার শহরে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বাস্থ্য উপ-মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন ভোলা মল্লিক, বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান আরমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক বলেন আমার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিযোগ করা হয়েছে। সেদিন দলীয় কার্যলয়ে অস্ত্র প্রদর্শনের কথা স্বীকার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক বলেন, সরকার তামাশা দেখার জন্য আমাকে অস্ত্র দেয়নি, মুছে ঘরে রেখে দেবার জন্যও দেয়নি, নিরাপত্তার জন্য দিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে তিনি পিস্তল নিয়ে সেখানে যান। তাকেও মারধর করতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শন করেন।
তিনি বলেন, শহরের স্টেশন রোডে সফি মিয়ার বাজার মোড়ে তাঁর বড় ছেলে বাবুর নামে থাকা একটি ঘর গত ২৮ বছর ধরে জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য তিনি বিনা ভাড়ায় দিয়েছেন। এ নিয়ে গত ১ এপ্রিল রাতে তার ছেলে ঘর মালিক ওই অফিসে কথা বলতে গেলে উপস্থিত সকলেই মারমুখী হয়ে উঠে। ছেলের জীবন বাঁচাতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে লাইসেন্সকৃত পিস্তল উঁচিয়ে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিরাজুল হক ১৯৯১ সালে জামালপুর-৫ সদর আসনে ধানের শীষ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।