ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাতে গতকাল এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। এরপর রাতে গাজায় ‘তাৎক্ষণিক’ ও ‘শক্তিশালী’ হামলার নির্দেশ দেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তার নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় নতুন করে বর্বরতা শুরু করে দখলদার সেনারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের ওই সেনাকে হত্যা করে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তাই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা জানিয়েছে, যেসব যোদ্ধা ওই ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ নেই।
ওই যোদ্ধারা রাফার আল-জানিনার একটি সুড়ঙ্গের ভেতর ছিলেন। এ স্থানটি বর্তমানে ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গতকাল দখলদারদের সেনারা সেখানে ভারী যন্ত্রাংশ দিয়ে সুড়ঙ্গ এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করছিল। তখন ওই সুড়ঙ্গের ভেতর থাকা হামাসের যোদ্ধারা উপরে এসে ইসরায়েলের সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
ওয়াল্লা বলেছে, সুড়ঙ্গটি যখন ভেঙে পড়ছিল তখনই যোদ্ধারা বের হয়ে আসেন। এর সঙ্গে হামাসের নেতৃবৃন্দের অথবা ইচ্ছাকৃত হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সুড়ঙ্গের ভেতর এসব যোদ্ধা কয়েক মাস ধরে অবস্থান করছিলেন। আর সেখান থেকে হামাসের যোদ্ধাদের বের হতে দেখে ইসরায়েলি সেনারাও চমকে যায়।
কিন্তু নেতানিয়াহু হামাসের ওপর এর দায়ভার চাপিয়ে গাজায় ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেয়। এতে করে ১০৪ ফিলিস্তিনি বিনাদোষে প্রাণ হারিয়েছেন।
একদিনে শতাধিক মানুষকে হত্যার পর দখলদাররা আবারও বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: ওয়াল্লা, মিডেল ইস্ট আই
