দেশের ক্রিকেটে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আসবেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। যদিও সেভাবে বিষয়টি খোলাসা করেননি তিনি। বিসিবির নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে, তখনই অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন তামিম। বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও তার নজর সভাপতি পদের দিকে। এদিকে, প্রশ্ন উঠেছে তার চাচা আকরাম খান দীর্ঘ সময় বিসিবিতে থাকলেও কেন সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন না!
সাবেক দেশসেরা ওপেনার তামিম প্রথমে বিসিবির পরিচালক হতে চান, গঠনতন্ত্র অনুসারে এটাই সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রাথমিক বিষয়। এরপর সভাপতি পদে নির্বাচনের দিকে তার নজর রয়েছে। তামিমের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বিসিবির নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। সবমিলিয়ে বিসিবির নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই রোমাঞ্চ ছড়াতে শুরু করেছে।
এরই মাঝে গত কয়েকদিন ধরে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন চলছিল– আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরাম খানকে আর বোর্ডে দেখা যাবে না। এর পেছনে ঠিক কী কারণ থাকতে পারে তা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছিল না। আজ (সোমবার) এই রহস্যের জট খুলেছেন আকরাম নিজেই। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিসিবির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না নেওয়ার কারণ জানিয়েছেন।
আকরাম বলেছেন, ‘যেহেতু আমার পরিবারের আরেকজন সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে…বোর্ডে একই পরিবারের দু’জন থাকাটা আমার পছন্দ না। ও (তামিম) তো আমার ছোট, আমার ছেলের মতো, ওকে আমি কোলে নিয়েছি। এজন্য আমি ওখান থেকে সরে এসেছি। এটা দেখতেও ভালো লাগে না। একজন প্রধান (তামিমের বিসিবি সভাপতি হওয়া) হবে, আর বয়সেরও তো একটা ব্যাপার আছে।’

বিসিবির দায়িত্বে যে-ই আসুক, ক্রিকেটের উন্নতি চান আকরাম, ‘তামিম বা বুলবুল যেই আসুক—একজন আমার আত্মীয়, একজন কলিগ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন ভালো হয় সেই জিনিসটা চাই এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার সম্মান। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে স্বার্থের জন্য অন্যকে অনেক অসম্মানিত করা হচ্ছে। এই জিনিসটা আসলে সহ্য করার মতো না। কারণ আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে ক্রিকেট। আমি ব্যবসায়ী বা রাজনীতিবিদ হিসেবে আসিনি। সুতরাং ক্রিকেট নিয়ে যদি কোনো ধরনের অসম্মান হয় সেটা সহ্য করার মতো না।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৪ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ সদস্যের ওই পর্ষদের ভোটে নির্বাচিত হবেন নতুন সভাপতি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর পরিচালক পদে লড়াইয়ের কথা জানিয়ে সভাপতি পদে আসতে চান বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম। পরবর্তীতে ফারুক আহমেদসহ আরও কয়েকজনের পরিচালক নির্বাচনের কথা জানা গেছে। এর মাঝেই আসে বুলবুলের ঘোষণা।