সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী’র শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। উত্তরা মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন ও হাসপাতালে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তাঁর পাশে অবস্থান করছেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দু’আ চেয়েছেন।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেশের আঠারতম রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী বলেন, “বাবার আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজ রয়েছে। তার ফুসফুসে সংক্রমণ (ফুসফুসে পানি জমা) হওয়ায় হসপিটালাইজড করা হয়েছে।”
আগেও একাধিকার অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ বছর বয়সি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায়ও ভুগছেন বলে তথ্য দিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক থেকে ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতে নামেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন।জিয়াউর রহমানের সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর আসন থেকে ১৯৭৯, ১৯৯১, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি শিক্ষামন্ত্রী এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৯৬ সালে বিএনপি যখন বিরোধী দলে তখন সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্বও পালন করেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, রাজনৈতিক কারণেই ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
রাজনৈতিক মতৈক্য না হওয়ায় বিএনপি থেকে বেরিয়ে ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে এর সভাপতি পদে বসেন শতবর্ষী এই রাজনীতিক।
স্ত্রী হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সংসার। তার বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী পেশায় আইনজীবী, ছোট মেয়ে শায়লা চৌধুরী চিকিৎসক, যিনি উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন।
একমাত্র ছেলে বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতা মাহী বি. চৌধুরী। মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।